আপনার বাচ্চাকে পড়ার জন্য শুধু না বকে আগে ওর সমস্যাটা বুঝুন – Free Tips

আপনার বাচ্চাকে পড়ার জন্য শুধু না বকে আগে ওর সমস্যাটা বুঝুন
আপনার বাচ্চাকে পড়ার জন্য শুধু না বকে আগে ওর সমস্যাটা বুঝুন

আপনার বাচ্চাকে পড়ার জন্য শুধু না বকে আগে ওর সমস্যাটা বুঝুন

আপনার বাচ্চাকে পড়ার জন্য শুধু না বকে আগে ওর সমস্যাটা বুঝুন: আজকাল মা বাবারা বাচ্চার পড়াশুনার ব্যাপারে রীতিমতো Serious । অনেকেরই চিন্তা তাদের ছেলে-মেয়ে ঠিকমতো পড়া মনে রাখতে পারছে না বা ক্রমশ পিছয়ে পড়ছে -এর কি কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ আছে ?

অবশ্যই । স্কুলের পড়ার চাপ আর বাবা-মার ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশার সামনে ক্রমশ নুইয়ে পড়া খুদে খুদে ছেলে মেয়েরা আজ প্রায়শই দিশাহারা । কাজেই প্রথমেই দেখে নিতে হবে, এই চাপ নেবার মতো বুদ্ধিমত্তা বাচ্চাটির আছে তো ? যদি বুদ্ধি ঠিক থাকে, তাহলে পরের প্রশ্ন, বাবা-মার আকাঙ্খা পূরণের চাপ একটু বেশী হয়ে যাচ্ছে না তো ?

তা এই বুদ্ধিমত্তার ব্যাপারটা কি করে বোঝা যাবে ?

বুদ্ধির পরীক্ষা করে । আমরা যেটাকে বলি IQ Test ।

আচ্ছা কতটা হলে বলা যায় বুদ্ধি স্বাভাবিক আছে ?

IQ মাপার জন্য একটা বিশেষ ধরণের Scale আছে । তাতে ফেলে যদি দেখা যায় ‘৭০’ এর নিচে আছে, তাহলে বুদ্ধির সমস্যার কথা ভাবতে হবে । গড়পড়তা ৮৫-১০৯ থাকলে স্বাভাবিক বা সাধারণ বুদ্ধি বলে ধরা হয় ।

আর বেশি বুদ্ধি বা Super Intelligent কারা ?

IQ যদি ১৩০ বা তার উপর হয় ।

আচ্ছা এই বুদ্ধির সমস্যাটা বাদ দিয়ে আর কোনো কারণ কি রয়েছে পড়াশোনা ঠিকমতো না করতে পারার বা পিছিয়ে পড়ায় ?

হ্যাঁ, ধরুন যদি নির্দিষ্ট Learning Disorder থাকে বাচ্চাটির ।

আজকাল Tare Zameen Par সিনেমার পর অনেকেই তো খুব কৌতুহলী Dyslexia ব্যাপারটা নিয়ে । আদতে ব্যাপারটা কি ?

এককথায়, Specific Learning Disorder । এটাই Dyslexia এছাড়াও নির্দিষ্ট লেখার সমস্যা যেটার গালভরা নাম Dysgraphia বা ধরা যাক, অঙ্ক করার সমস্যা যেটাকে বলা হয় Dyscalculia |

তাহলে এগুলো বোঝা যাবে কি ভাবে ?

1. প্রত্যেকটার আলাদা আলাদা নির্দিষ্ট কিছু চিহ্ন আছে, যেমন ধরা যাক– Dyslexia বা নির্দিষ্ট পড়ার সমস্যা

2. (b) কে (d) পড়ছে বা dog পড়তে গিয়ে পড়ছে bog

3. খুব আস্তে আস্তে থেমে থেমে অনেক কসরৎ করে পড়ছে

4. কোনো কমা, পূর্ণচ্ছেদ ছাড়াই পড়ার প্রবণতা

কখনো সখনো একটা পুরো Sentence এর কয়েটা শব্দ পড়তে গিয়ে বাদ হয়ে গেল । আবার নির্দিষ্ট লেখার সমস্যার ক্ষেত্রে (1) পারতপক্ষে লেখালেখি এড়িয়ে যাবার প্রবণতা (2) খুব আস্তে আস্তে লেখা (3) পেনসিলটা বেখাপ্পা করে ধরে লেখার চেষ্টা (4) খারাপ হাতের লেখা বা ভীষণ বানান ভুল করা (5) লেখাতে কমা, দাঁড়ি না দেওয়া (6) ‘চ’ লিখতে গিয়ে ‘ছ’ বা (m) লিখতে গিয়ে (n), (d) এর জায়গায় (b) এসব ।

আর অঙ্ক লেখার সমস্যায় –

(1) স্বাভাবিকের থেকে ঢের বেশি সময় নেওয়া সাধারণ অঙ্ক করতে গিয়ে ।

(2) যোগ-বিয়োগ করতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলা ‘০’ বা ‘১’ দিয়ে যোগ, বিয়োগ, গুণ করার সময় সব গুবলেট করে ফেলা, যেমন- ১ + ১ = ১, ৩ – ৩ = ০, ৫ X ০ = ৫ এই রকম আর কি ।

এই সমস্যাগুলি কি খুব Common ?

ধরা যাক, একটা ক্লাসে প্রায় ৪০ – ৫০ জন ছাত্র আছে, তার মধ্যে গড়ে ২ জনের এমন একটা সমস্যা থাকার সম্ভাবনা । এবং এটা নার্সারি, কেজি থেকে শুরু করে ১০ ক্লাস পর্যন্ত একই রকম হারে ।

আদৌ কি এসব সমস্যাগুলো সারে ?

অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যায় যদি-

1. ঠিক সময়ে চিহ্নিত করা যায় সমস্যাটা

2. Remedial Measures শুরু করা যায় ঠিক সময়মতো

3. দরকারমতো মনোবিদের পরামর্শমতো ব্যবহারিক আচরণগত ত্রুটির জন্য ওষুধ ব্যবহার করা যায় ।

আসলে বুদ্ধির সমস্যা থাকলে সেটা টেনে বাড়ানোর দাওয়াই নেই । তবে সেক্ষেত্রেও বুদ্ধির সমস্যাটা IQ জেনে নেওয়া জরুরি, তাতে অযথা মা-বাবার স্বপ্ন দেখা কমে আর বাচ্চার ওপর চাপ পড়াটাও এড়ানো যায় ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here