ঘাড় ও গলার যত্ন কি ভাবে নেওয়া উচিত – ঘাড়ের ব্যায়াম: মুখের যত্ন পরিচর্যা যতই করুন না কেন ঘাড় ও গলার সৌন্দর্য না থাকলে আপনার সৌন্দর্যের আকর্ষণীয় দিকটা ঢেকে যাবে অনেকখানি । কথায় বলে ‘মরাল গ্রীবা’ অর্থাৎ রাজহাঁসের মতো মসৃণ গলা অর্থাৎ লম্বাটে গলা সুন্দরী নারীর আকর্ষণীয় দিক ।
ঘাড় ও গলার যত্ন কি ভাবে নেওয়া উচিত
আপনার যদি মরাল গ্রীবা না-ও থাকে তবুও একটু সতর্কভাবে পরিচর্যার মাধ্যমে সুন্দর করে তুলতে পারেন আপনার গ্রীবা ।
আমাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে । শরীরের অন্যান্য এলাকার তুলনায় গলার ভাঁজ বা শুষ্ক ত্বক বেশি চোখে পড়ে । গলার ত্বকের দিকে তাকিয়ে বয়স সহজেই অনুমান করা যায় ।
তাই গলার বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন । বয়স বাড়ার সাথে গলার মাংস পেশিগুলো ক্রমান্বয়ে ঝুলে পড়ে । তাই ঘাড় ও গলার নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত ।
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন না তারাও অন্ততপক্ষে নিচের নিয়মে ব্যায়ামটি করুন ও কিছু নির্দেশনা পালন করুন । দেখবেন বহু বছর পর্যন্ত আপনার ঘাড় ও গলা সুন্দর থাকবে ।
আরও পড়ুন- দাঁতের যত্ন কিভাবে নেবেন
ঘাড়ের ব্যায়াম ও কিছু নির্দেশনা
1. কাঁধ না নাড়িয়ে প্রথমে আপনার মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন । তারপর আস্তে আস্তে ডান দিকে কয়েক সেকেন্ড রাখুন । তারপর পেছনে, এরপর বাঁ দিকে, পুনরায় সামনে এভাবে ছয়/সাত বার ব্যায়ামটি করুন । এ ব্যায়াম মাটিতে বসে মেরুদণ্ড সোজা রেখে বজ্রাসনে বসে অথবা এমনি বসেও করতে পারেন । অথবা দাঁড়িয়ে দুপায়ের মাঝে সামান্য ফাঁক রেখে কাঁধ স্থির রেখেও করতে পারেন ।
এভাবে বৃত্তাকারে ডানে-বামে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে প্রতিদিন একবার করে ঘাড়ের এ ব্যায়ামটি করুন ।
2. যখন দাঁড়ানো অবস্থায় থাকবেন- সবসময় মেরুদণ্ড সোজা টানটান করে দাঁড়াবেন । যদি কুঁজো হয়ে বা এঁকেবেঁকে দাঁড়ান বা আপনার চিবুক যদি ঝুলে থাকে তবে আপনাকে অনাকর্ষণীয় ও বেঁটে দেখাবে । এতে গলায় ভাঁজ বা বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনা বেশি ।
3. সবসময় ঘাড় সোজা রেখে চলাফেরা করুন । ঘাড় নুইয়ে বসা, হাঁটা-চলার অভ্যাস ত্যাগ করুন । তা না হলে অল্প বয়সেই গলায় বলিরেখা দেখা দেবে ।
4. ঘাড়, গলা পরিষ্কার করার সময় কখনও ঘষাঘষি করবেন না । বেশি ঘষাঘষিতে ত্বক কুঁচকে যেতে পারে । বরং ক্লিনজিং মিল্ক ব্যবহার করতে পারেন ।
5. রাতে শোবার আগে হালকাভাবে বডি লোশন কিংবা অলিভ অয়েল নিয়ে আস্তে আস্তে নিচ থেকে ওপরে টেনে টেনে ম্যাসাজ করুন ।