Weight Loss Food List – ওজন কমানোর খাবার তালিকা
Weight Loss Food List – ওজন কমানোর খাবার তালিকা: ওজন কমানোর উপায় নিয়ে আমারা সবাই কমবেশি চিন্তিত। সুস্বাস্থ্য ও ফিট বডি জন্য যেমন আপনার ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটিস (বিশেষত ব্যায়াম করা) প্রয়োজন। নিয়মিত শরীরচর্চায় দেহ সবল ও স্বাস্থ্যবান রাখা সম্ভব। ঠিক তেমনি আপনি যদি ওজন কমাতে চান। তাহলে আপনার শরীরচর্চার সঙ্গে একটা উপযুক্ত ডায়েট চার্ট রাখা প্রয়োজন। ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চার সঙ্গে নিয়মিত আপনাকে ডায়েট চার্টটি অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু ওজন কমানোর ডায়েট চার্টটি (Weight Loss Food List) হতে হবে পুষ্টিকর।
একটি স্বাস্থ্যবান পারফেক্ট ডায়েট চার্ট আপনার ওজন কমাতে ৯০ শতাংশ সাহায্য করবে। অনেক সময় আমরা বুঝে উঠতে পারি না ওজন হ্রাস করার জন্য কেমন খাদ্য তালিকা হওয়া উচিত। তাদের জন্য এখানে ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট এর সন্ধান রইল।
সকালের খাবার (৭.০০ – ৭.৩০)
সকালে উঠে ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। শরীরচর্চা শুধু মেদ ঝরাতে সহয়তা করবেই না উপরন্তু প্রতিদিন কাজে সক্রিয় থাকতে সক্ষম করবে। সকালের খাবারব্যায়ামের পর ১ কাপ গরম জলে পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন। ১৫ মিনিট বাদে চিনি ছাড়া চা বা গ্রিনটি, সঙ্গে ফাইবার বিস্কুট (ক্রিমক্র্যাকার খেলে ভালো হয় )।
সকাল খাবার (৮.৩০ – ৯.৩০)
সকালের ব্রেকফাস্ট ৮.৩০ থেকে ৯.৩০ মধ্যে করার চেষ্টা করবেন। সকালে ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট এ ২টো রুটি, এক বাটি সবজি ও একটা সেদ্ধ ডিমের সাদা অংশ রাখবেন।
সকাল (১১.০০ – ১১.৩০)
দুপুরের খাবারের আগে কিছু ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন যুক্ত টাটকা ফল খান (যেমন– আপেল বা কমলালেবু)।
দুপুরের খাবার (১.০০ – ২.০০)
দুপুরে এক কাপ ভাত, ২ টো রুটি, এক বাটি ডাল এবং ১ বাটি সবুজ সবজি সঙ্গে ১ পিস মাছ। সপ্তাহে ২ দিন মুরগির মাংস খাবেন। খাবার শেষে টক দই ও শসা। বাঁধাকপি, শিম, পটল, গাজর, উচ্ছে, ফুলকপি, পালং শাক, সরিষার শাক, গাজর, টমেটো ইত্যাদি সবজি ওজন হ্রাসের জন্য উপকার।
বিকালের খাবার (৪.০০ – ৪.৩০)
দুপরের খাবারের ঠিক ২ ঘণ্টা পরে বিকালে কিছু খাওয়া উচিত। এক কাপ গ্রিনটি সাথে মিষ্টি ছাড়া বিস্কুট।
সন্ধ্যার খাবার (৭.০০ টা)
সন্ধ্যে কিছু ফল বা বাদাম খেতে পারেন। কিন্তু ভারি খাবার একদম নয়।
রাতের খাবার (৮.০০ – ৮.৩০)
রাতের খাবার ৮.৩০ টার বেশি করা উচিত নয়। রাতে ১ কাপ ভাত বা ২ টো রুটি সঙ্গে এক বাটি সবজি বা চিকেন সুপ। খাওয়ার শেষে শসা খেতে ভুলবেন না। ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট সবজি, ফল, সুস্থ ফ্যাট, মিষ্টি ছাড়া পানীয় উপাদানগুলি প্রতি ফোকাস দেওয়া প্রয়োজন।
একটি খাদ্য তালিকা অনুসরণ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হল নিজের লক্ষ্য অর্জন করা। এটি আপনার লক্ষ্য মনোযোগ দিতে সহায়তা করে এবং ধীরে ধীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপনার কী খাওয়া প্রয়োজন এবং কতটুকু পরিমাণ খাবার খাওয়া দরকার তা একটি ডায়েট চার্ট নিয়ন্ত্রণ করে।
একটি ডায়েট চার্ট শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটায় এবং দেহের বিপাকের কাজ দ্রুতগতিতে পালন করে।
যেহেতু ডায়েট চার্টে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অনুপস্থিত থাকে তাই আপনি একটু সুস্থকর লাইফস্টাইল পেতে পারেন। তাছাড়াও নির্ধারিত সময়ে খাওয়ার অভ্যাস বিকাশের সহয়তা করার পাশাপাশি সুস্থ থাকতে এবং স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি এড়িয়ে যেতে সাহায্য করবে।
ডায়েট চার্ট আপনাকে একটি ব্যালেন্স ডায়েট পরিকল্পনা তৈরি করতে সহয়তা করবে। যা ৬ টি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি অন্তর্ভুক্ত করবে। যেমন – ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল, ভিটামিন, প্রোটিন এবং ফাইবার।
Also Read-
- ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়
- ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ ও উৎসের নাম
- শিশুর স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধির জন্য পুষ্টি
আশা করি, ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট (Weight Loss Food List) সম্বন্ধে আপনার একটি ধরনা হয়েছে। এই ডায়েট চার্টটি অনুসরণ করলে ১ মাসের মধ্যে ফল পাবেন।
ওজন কমানোর জন্য সকালে কি খাবার খাওয়া প্রয়োজন?
সকালে উঠে ১ কাপ গরম জলে পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে এবং তারপর গ্রিন টি সাথে বিস্কুট খেতে পারেন। ২ ঘণ্টা বাদে রুটির সাথে সবজি।
ওজন কমানোর জন্য দুপুরে কি খাবার খাওয়া প্রয়োজন?
এক কাপ ভাত, দুটো রুটি, সবজি, মাছ।
ওজন কমানোর জন্য রাতে কি খাবার খাওয়া প্রয়োজন?
রাতে খুব বেশি খাবার উচিত নয়। হালকা খাবার খেতে হবে।