রোজগার করার ইচ্ছা সবার থাকে। তাইতো সবাই টাকার রোজগারের পেছনে ২৪ ঘণ্টা লেগে থাকে।
দিন দিন যা জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে তাই একটা রোজগারের উপর সংসার চালানো সম্ভব হয়না। তাই মানুষ আজকাল একটা স্থায়ী চাকরি করার পরও ব্যাবসা করার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। যদি ঘরে বসে রোজগার করা যেত তাহলে খুব ভালো হতো, এমনটা সবাই চায়। হয়তো আপনিও চান, তাইনা!
হ্যাঁ এখন ঘরে বসেই ইনকাম করা সম্ভব, তার কতগুলি উপায় আছে।
এই ব্যাবসা গুলি করলে আপনিও মাসে ২০০০০ টাকা আয় করবেন
- Share Market এ ট্রেডিং করা।
- ব্লগ লিখে আয় করা।
- বাড়ি ভাড়া দিয়ে আয় করা।
- ডেকরেটরস এর জিনিষ ভাড়া দিয়ে আয় করা।
- বাড়িতে মোবাইল টাওয়ার লাগিয়ে আয় করা।
- কমার্শিয়াল গাড়ি ভাড়া দিয়ে আয় করা।
- নিজের জমি লীজ দিয়ে আয় করা।
- Consaltantancy service দিয়ে আয় করা।
- বাড়িতে মুদি দোকান খুলে আয় করা।
- বাড়িতে টিউশন করিয়ে আয় করা।
- Investment এজেন্ট হয়ে আয় করা।
- P2P platform eইনভেস্ট করে আয় করা।
- Zomato সুইগী থেকে আয় করা।
শেয়ার বাজার এ ট্রেডিং করা:
যদি আপনি share বাজারে ট্রেডিং করে পয়সা কামাতে চান তাহলে share বাজার সম্পর্কে knowledge থাকা খুব জরুরী। share বাজার এ জ্ঞ্যান না থাকলে আপনি বুঝতে পারবেনা কি করে ট্রেডিং করতে হয়, আর আপনার টাকা তো আয় করা দূরের কথা আপনার লোকসান হয়ে যাবে। যদি বিনা knowledge এ ট্রেডিং করতে চান, তাহলে demat account খুলে ব্রোকার দের সহায়তায় ট্রেডিং করুন। কিন্তু এতে ব্রোকার আপনার কাছ থেকে কমিশন চার্জ করবে।
ব্লগ লিখে আয় করা:
বাড়িতে বসে ব্লগ লিখে আয় করা খুব সহজ। কিন্তু এতে অনেক সময় লাগে।একবার আপনার সাইট দাড়িয়ে গেলে আপনাকে আর অন্য কাজ করতে হবে না। আপানার ব্লগে ডেইলি আপডেট দিতে হবে।আমি বলবো পার্টটাইম ব্লগিং করাই ভালো। এতে আপনার অন্য কাজও হবে আর ব্লগিং ও হবে।
ডেকরেটরস্ এর জিনিস ভাড়া দিয়ে আয় করা:
আপনি যদি ডেকরেটরস্ এর জিনিস কেনেন তাহলে আপনি এই জিনিস দিয়ে সারা বছর আয় করতে পারবেন। এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে রান্না করার জন্য হতা, খুন্তি, করাই, এবং খেতে দেওয়ার জন্যে চেয়ার, টেবিল এর চাহিদা অনেক। তাই এই একটা ভালো উপায় ব্যাবসা করার।
বাড়ি ভাড়া দিয়ে আয় করা:
বর্তমান বাজারে বাড়ি ভাড়ার চাহিদা অনেক। আপনার বাড়ি যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর পাশে হয় বা কোনো কারখানার পাসে হয়, বা অন্য কোনো ভালো জায়গায় হয় তাহলে নতুন ঘর বানান আর ভাড়া দিন।এই ব্যাবসার মত ভালো ব্যাবসা আর হয়না।
বাড়িতে টাওয়ার লাগিয়ে আয় করা:
যদি আপনার বাড়িতে বড়ো ছাদ থাকে অথবা ফাঁকা জমি থাকে তাহলে টাওয়ার বসান। মাসে বসে বসে ভালো টাকা উপার্জন করবেন। “মনে রাখবেন আজকাল অনেক প্রতারক মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে প্রতারণা করছে ” তাই সব কিছু যাচাই করে পদক্ষেপ নিন।
কমার্শিয়াল গাড়ি ভাড়া দিয়ে আয় করা:
যদি আপনার কাছে ছোটো গাড়ি থাকে তাহলে Ola, Uber এর সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করে ভাড়া খাটান। আর যদি বড়ো গাড়ি থেকে তাহলে কোনো কোরিয়ার সংস্থায় দিয়ে দিন মাস গেলে একটা মোটা টাকা পাবেন। যদি কারুর গাড়ি কেনার জন্যে প্রয়োজনীয় টাকা নেই তারা রাজ্য সরকারের গতিধারা প্রকল্পের মাধ্যমে অর্ধেক টাকা জমা দিয়ে গাড়ি কিনতে পারেন।
নিজের জমি লীজ দিয়ে আয় করা:
যদি আপনার রাস্তার উপর ফাঁকা জমি থেকে থাকে,তাহলে কোনো পেট্রোল পাম্প সংস্থা কে লীজ দিয়ে দিন মাস গেলে মোটা টাকা পাবেন। তানাহলে Atm বসিয়ে দিন ভালো টাকা ভাড়া পাবেন।
কনসালট্যান্সি সার্ভিস দিয়ে আয় করা:
যদি আপনার হাতে মেকানিক, রাজ্য মিস্ত্রি,বাড়ির কাজের লোক, বা অন্য কোনো পেসার সাথে জড়িত লোক থাকে , তাহলে ad দিন কাজের call আসলে তাদের পাঠিয়ে দিন এবং কমিশন কামান।
বাড়িতে মুদি দোকান খুলে আয় করা:
আপনার বাড়ী রাস্তার ধারে হলে মুদি দোকান খুলুন দেখবেন ভালো আয় হবে মাস গেলে। দোকানের মাল আপনাকে আনতে হবে প্রথমবার, একবার দোকানের লোকেশন সেলস ম্যানরা জেনে গেলে ওরাই মাল দিয়ে যাবে। তাছাড়া এখন Jio Mart, Udaan এর মত অনেক B2B কোম্পানি তৈরি হয়েছে যার অর্ডার দিলে মাল পৌঁছে দেবে।
বাড়ীতে টিউশন করিয়ে আয় করা:
যদি আপনি উচ্চ শিক্ষিত হন তাহলে বাড়িতে বসে টিউশন করিয়া মাসে মোটা টাকা আয় করতে পারেন।
ইনভেস্টমেন্ট এজেন্ট হয়ে আয় করা:
আপনি বড়ো বড়ো ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি এজেন্ট হয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারেন।যেমন LIC এজেন্টরা মাস গেলে ভালো টাকা আয় করে। পলিসি করাতে পারলেই মোটা কমিশন।এর জন্য আপনাকে স্মার্ট হতে হবে।
P2P প্ল্যাটফর্ম এ বিনিয়োগ করা:
Peer to peer platform হল, এরা একটা lendor এরা ছোটো ব্যাবসায়ী বা বড়ো ব্যাবসায়ী দের loan দেয় কম সুদে। আপনি এই সব কোম্পানি তে ইনভেস্ট করলে ১২ থেকে ১৬% সুদ পাবেন, যা ব্যাংক থেকে অনেক বেশি। যদি আপনার কাছে ১০ লক্ষ টাকা থাকে তাহলে ১২% এর হিসাবে মাসের ১০০০০ টাকা পাবেন ঘরে বসে বসেই।
তবে ঘরে বসে আয় করার এরকম অনেক উৎস আছে যা আপনাকে খুঁজে বার করে নিতে হবে।
*কোনো লোভনীয় অফার যেমন মোবাইল টাওয়ার বসানো, ATM INSTALLATION, এই সব জায়গা থেকে কল আসলে এড়িয়ে চলুন। নিজে যাচাই করে তারপরই পদক্ষেপ নিন।