কীভাবে স্টাইলিশ সাজবেন দেখুন

কীভাবে স্টাইলিশ সাজবেন দেখুন
কীভাবে স্টাইলিশ সাজবেন দেখুন

কীভাবে স্টাইলিশ সাজবেন দেখুন: সব কিছু পরিচর্যার পর এবার জানতে হবে আপনি কীভাবে সাজবেন । সাজার জন্যে কী কী প্রসাধন সামগ্রী প্রয়োজন এবং কীভাবে তা ব্যবহার করবেন । সাজগোজের জন্যে আপনার প্রয়োজনীয় প্রসাধন সামগ্রী এবং তা ব্যবহারের নিয়মাবলি:

ক্লিনজার

ক্লিনজিং করার জন্যে সাধারণত তিন ধরনের উপকরণ পাওয়া যায় । যেমন: মিল্ক, ক্রিম ও লোশন । গায়ে মাখা সাবান অথবা ত্বক অনুসারে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন ।
লাগানোর নিয়ম: সাধারণত হাতের আঙুল অথবা তুলো দিয়ে লাগাবেন । সারা দেহেই ক্লিনজার ব্যবহার করা যায় ।

ফ্রেশনার

ক্লিনজিং করার পর ফ্রেশনার ব্যবহৃত হয় । স্বাভাবিক, মিশ্র ও শুষ্ক ত্বকের জন্যে টনিক, স্কিন ফ্রেশনার বা টোনার । তৈলাক্ত ত্বকের জন্যে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন ।
লাগানোর নিয়ম: তুলো দিয়ে লাগাবেন । শুধু মুখে ব্যবহার করতে হয় মেক-আপের আগে ।

ময়েশ্চারাইজার

ত্বকের আর্দ্রতা বা জলীয়ভাব ধরে রাখার জন্যে ব্যবহার করা হয় । দুধরনের ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায় ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ও ময়েশ্চারাইজিং লোশন । হাতের আঙুল দিয়ে লাগাতে হয় ।

ব্লেমিশ কভার আপস্টিক

এটি মুখের ছোট ছোট খুঁত বা দাগ ঢাকার জন্যে ব্যবহৃত হয় । মেক-আপ শুরু করার আগে এটি যেখানে যেখানে দাগ বা খুঁত রয়েছে সেখানে-বিশেষ করে চোখের আশপাশের খুঁত থাকলে তা ঢাকতে ব্যবহার করতে পারেন ।
এগুলো বিভিন্ন রঙের পাওয়া যায় । যে রং আপনার ত্বকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সে রং লাগাবেন ।

ফাউন্ডেশন

এটিকে ময়েশ্চারাইজার লাগানোর ১০ মিনিট পর মেক-আপের বেইজ হিসাবে ব্যবহার করা হয় । ফাউন্ডেশন মুখের নানা রকমের দাগ লুকাতে সাহায্য করে । সাময়িকভাবে মুখের ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে । ফাউন্ডেশন আঙুলের ডগা দিয়ে তুলে সারা মুখে-গলায় বিন্দু বিন্দু করে লাগাতে হয় । তারপর আলতো করে ঘষে ঘষে সারা মুখে-গলায় বসিয়ে দিতে হয় । এমনভাবে লাগাবেন যেন বেশি না হয়ে যায় ।

বেশি হলে বিশ্রী লাগবে । মনে হবে প্রলেপ মেখেছেন । হালকাপাতলা করে লাগাতে হবে, যেন মুখ দেখতে প্রাকৃতিক ফর্সা মনে হয় । ফাউন্ডেশন কেনার সময় গায়ের রঙের সাথে মিলিয়ে কিনুন । ফর্সাদের জন্যে গোল্ডেন ট্যান বা হালকা রোজ ভালো লাগবে । সবসময় ত্বকের রঙের সাথে খাপ খাইয়ে ফাউন্ডেশন লাগাবেন ।

কমপ্যাক্ট মেক-আপ বা প্যানকেক

কমপ্যাক্ট মেক-আপকে সম্পূর্ণ মেক-আপ বলা যায় । এটা শুধু আলাদাও লাগানো যায় আবার ফাউন্ডেশনের ওপরও ব্যবহার করা যায় । স্পঞ্জ দিয়ে লাগাতে হয় । এটি মুখমণ্ডলে ব্যবহার করা হয় । রাতের সাজে এটা ভালো । আপনার ত্বকের রঙের সাথে মিলিয়ে কিনুন ।

ফেস পাউডার

এটি এমনিতে লাগানো যায় । এর সাথে দেয়া প্যাড দিয়ে লাগাতে পারেন অথবা ব্রাশ দ্বারাও লাগানো যায় । আবার ফাউন্ডেশন লাগানোর পরও ব্যবহার করা যায় । এটিও মুখমণ্ডলে ব্যবহৃত হয় । ফাউন্ডেশনের পর লাগালে ফাউন্ডেশন থেকে এক শেড হালকা রঙের লাগাতে হবে ।

ব্লাশ-অন বা রুজ

ব্লাশ-অন বা রুজ দুধরনের । পাউডার ও লিকুইড ক্রিম আকারে । এগুলো বিভিন্ন রঙের পাওয়া যায় । এটি ব্যবহার করতে হয় পাফ, সফট ব্রাশ কিংবা তুলো দিয়ে । মেক-আপ সম্পূর্ণ হলে এটি গালে উজ্জ্বলতার জন্যে ব্যবহার করা হয় । তবে বিভিন্ন মুখমণ্ডলের আকৃতিতে বিভিন্নভাবে লাগাতে হয় । লম্বা মুখের ক্ষেত্রে গালের উঁচু হাড়ের দিক থেকে ব্রাশ টেনে কানের দিক পর্যন্ত টেনে মিশিয়ে দিলে লম্বাটে মুখ দেখতে ছোট লাগবে । আবার গোল মুখকে লম্বাটে দেখাতে হলে কানের তলা থেকে ব্রাশ টেনে নিয়ে সমগ্র চোয়ালের পাশ ঘিরে কান পর্যন্ত টানতে হবে । তারপর একটা টিস্যু পেপার দিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে ।

আইশ্যাডো

চোখের পাতায় লাগাতে হয় । এতে চোখে বাড়তি সৌন্দর্য ফুটে ওঠে । আইশ্যাডো নানান রঙের পাওয়া যায় । পোশাকের সাথে মিলিয়ে লাগালে বেশ স্মার্ট এবং সুন্দর লাগে । এটি ব্রাশ, ছোট স্টিলের মাথায় স্পঞ্জ প্যাড লাগানো স্টিক, তুলো ইত্যাদির যেকোনো একটির সাহায্যে লাগাতে পারেন ।

আই লাইনার

এটি আইশ্যাডো লাগানোর পর লাগাতে হয় । চোখের ওপরে কিংবা ওপরে-নিচে-উভয় পাতায় লাগাতে পারেন । এটি কাজলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয় । যাদের চোখ ছোট তারা চোখের বাহির দিক দিয়ে সতর্কভাবে সুন্দর করে লাইন টেনে চোখ বড় দেখাতে পারেন । লাইনার কালো বা ব্রাউন রঙের পাওয়া যায় ।

মাসকারা

চোখে লাইনার কিংবা কাজল লাগানোর পরই মাসকারা লাগাতে হয় । যাদের চোখের পাপড়ি অল্প তারা এটি ব্যবহার করলে চোখের পাপড়িগুলো ঘন এবং বড় দেখায় । আর যাদের চোখের পাপড়ি বড় তারাও লাগাতে পারেন । দেখতে আরো ভালো লাগবে । মাসকারা দুধরনেরই পাওয়া যায়- লিকুইড এবং শক্ত কেকের মতো । শক্ত মাসকারা লাগানো সহজ । মাসকারা সাধারণত কালো, ব্রাউন, নীলচে রঙের হয়ে থাকে । তবে বাঙালি মেয়েদের জন্যে কালো মাসকারা লাগানো উত্তম ।

আই-ব্রো পেন্সিল

ভ্রূতে লাগাতে হয় । দুরঙের পাওয়া যায় । বাদামি ও কালো । এটি ভ্রূকে ঘন, কালো ও উজ্জ্বল দেখাতে ব্যবহৃত হয় ।

লিপস্টিক

ঠোঁট সুন্দর করতে লিপস্টিক ব্যবহৃত হয় । এটি সাধারণত পোশাকের সাথে মিলিয়ে ঠোঁটে লাগালে ভালো লাগে । তবে পোশাকের এমন কিছু রং আছে সে রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করলে সঙ মনে হবে । লিপস্টিক বিভিন্ন রঙের পাওয়া যায় । দিনের বেলা হালকা মিষ্টি রং লাগান, রাতে গাঢ় রং লাগাতে পারেন । লাগানোর আগে ঠোঁটে একটু পাউডার লাগিয়ে নিয়ে তারপর লিপ পেন্সিল বা লিপ ব্রাশ দিয়ে হালকা করে আউট লাইন এঁকে নিয়ে তারপর ভেতরের অংশ লিপস্টিক দিয়ে ভরে দিতে হয় ।

আজকাল অনেকেই লাইন এমনভাবে টানেন আর মধ্যে হালকা ভরাট করেন যে, মুখের দিকে তাকালে মনে হয় ঠোঁটে আলগা কিছু লাগিয়ে রেখেছেন । আবার অনেকে বাইরে লাইন টানেন এক রঙের পেন্সিল ব্যবহার করে, মধ্যে ভরাট করেন অন্য রঙের লিপস্টিক দিয়ে । এটিও দেখতে বিশ্রী লাগে । মনে হয় কৃত্রিম ঠোঁট । সবসময় মনে রাখবেন সাজগোজ যত স্বাভাবিক হবে তত আপনাকে রুচিসম্মত মনে হবে । হাল ফ্যাশনের সব কিছুই দেখতে ভালো লাগে না । ওগুলো ছবির জগতে, বিজ্ঞাপনে দেখতে ভালো লাগে, বাস্তবে নয় ।

লিপগ্লস

লিপস্টিক লাগানোর পর এটি ব্যবহার করতে হয় । এতে ঠোঁট ভেজা ভেজা, উজ্জ্বল ও চকচকে দেখায় । লিপগ্লস বিভিন্ন রঙের পাওয়া যায় । ন্যাচারাল লিপগ্লসও পাওয়া যায় । সাধারণত লিপস্টিকের রঙের সাথে মিলিয়ে লাগাতে হয় । আর যদি রঙের সাথে না মেলাতে পারেন তাহলে ন্যাচারাল লিপগ্লস লাগাতে পারেন । এতে ঠোঁট সুন্দর দেখায় ।

গ্লিমার

মেক-আপ করার শেষ পর্যায়ে গ্লিমার ব্যবহার করতে হয় । গ্লিমার ব্যবহার করার ফলে মুখমণ্ডলে চকচকে ভাব ফুটে ওঠে । তবে খুব কম পরিমাণে লাগাতে হয় । আঙুলের ডগায় সামান্য নিয়ে কপাল, দুই গালের কিছুটা অংশে এবং চিবুকে লাগালেই হয় । তবে এটি রাতের অনুষ্ঠানে লাগানো উচিত । এছাড়া রোল গ্লিমারও পাওয়া যায় । এটি সরাসরি লাগানো যায় ।

সুগন্ধি বা পারফিউম

সুগন্ধি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল । কী নারী কী পুরুষ ! মিষ্টি গন্ধ সবার মনেই আবেশ সৃষ্টি করে । শুধু মানুষ কেন, বিধাতাও নিশ্চয়ই পছন্দ করেন সুবাস । তাই তো তিনি প্রকৃতিতে নানা লতাগুল্ম ও পত্রপুষ্পকে করেছেন সুবাসিত । আর মানুষ এই প্রকৃতি থেকেই তৈরি করতে শিখেছে নানা ধরনের সুগন্ধি । প্রাচীন কালে মানুষ নিজ হাতে নানান ফুল-ফল, লতাপাতা থেকে নির্যাস বের করে তৈরি করতো সুগন্ধি । তবে একে সংরক্ষণ করা ছিলো কঠিন ব্যাপার । আর এখন বৈজ্ঞানিক উপায়ে তৈরি হচ্ছে নানা সুগন্ধি । তা সংরক্ষণ করতেও কোনো অসুবিধে হচ্ছে না ।

ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকে । সাজগোজ সেরে একটু সুগন্ধি ব্যবহার না করলে মনে হবে যে সাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেল ।

তবে সুগন্ধি লাগালেই হলো না । সুগন্ধি লাগানোরও নিয়ম আছে । আর নিয়মগুলো জানা থাকলেই সুগন্ধি ব্যবহার একটা আর্টে পরিণত হতে পারে ।

সব রকম গন্ধের প্রতিই আমাদের সহজাত প্রতিক্রিয়া রয়েছে । সুন্দর গন্ধ নাকে লাগলে আবেশে চোখ দুটো আপনা থেকেই বন্ধ করে বলি-আহ্ ! কী চমৎকার । আর বাজে গন্ধ বা উগ্র কোনো গন্ধ পেলে নাক কুঁচকে বলি, ইশ্ ! কী বাজে ! দূরে সরে যাই ।

প্রতিটি মানুষের শরীরে স্বাভাবিক গন্ধ আছে । এমনকি সব সৃষ্টিরই নিজস্ব গন্ধ রয়েছে । এজন্যে তাকে আলাদা করে বোঝা যায় ।

আমরা দেহের স্বাভাবিক গন্ধ পরিবর্তন করে চমৎকার কোনো মিষ্টি গন্ধ তৈরি করতে চাই । আর এজন্যে আমরা নানা ধরনের পারফিউম, বডি সেন্ট, সুগন্ধি পাউডার, আতর ব্যবহার করে থাকি ।

আপনি যেখানে যাবেন বা বসবেন সেখানে সুগন্ধি আবেশ সৃষ্টি করতে চাইলে সঠিক উপায়ে সুগন্ধি ব্যবহার করুন ।

বিভিন্ন সুগন্ধির বিজ্ঞাপন দেখলেই কেমন একটা শিহরণ জাগানো আনন্দ এসে আমাদের রোমান্টিক আচ্ছন্নতায় ভরিয়ে তোলে । কিন্তু আমরা কি দোকানে গিয়ে বলবো আমাকে আচ্ছন্নতা সৃষ্টিকারী ও কোনো উত্তেজক সুগন্ধি দিন । নিশ্চয়ই এটি কখনো বলবো না ।

অনেকেই বাড়ি থেকে বেরোবার মুহূর্তে খুব তাড়াতাড়ি একটু পারফিউম চেপে লাগিয়ে নেন । কিন্তু সুগন্ধি ব্যবহারের আরো ভালো উপায় আছে ।

স্নানের সময় জলেতে বিভিন্ন সুগন্ধি উপাদান ব্যবহার করা যায় । এতে শরীর থেকে একটা মিষ্টি গন্ধ বেরোবে । আবার ত্বকের কোমলতাও বজায় থাকবে । এছাড়া স্নানের পরও ব্যবহার করার জন্যে কিছু সুগন্ধি আছে । তবুও সুগন্ধি সাবানের বিকল্প নেই । স্নান শেষে বাইরে না বেরোলে আপনি ত্বকে ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন । লোশন ব্যবহার করতে পারেন । যে সব জায়গা প্রচুর ঘামে সেখানে পাউডার ব্যবহার করতে পারেন । এতে আপনার শরীর থেকে চমৎকার সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে ।

সুগন্ধিযুক্ত বড়িলোশন হাতে কিংবা শরীরে মাখলে আপনার শরীর ও হাত থেকে সুন্দর মিষ্টি সুবাস ছড়াবে । আপনি হয়তো রান্নাবান্নার কাজ একটু আগে সেরেছেন । পেঁয়াজের বিশ্রী গন্ধ নাকে লাগছে । হাত ভালো করে ধুয়ে লোশন মেখে নিলে পেঁয়াজের বিশ্রী গন্ধ দূর হবে । পেঁয়াজ-রসুন খাওয়ার পর প্রায় 24 ঘণ্টা পর্যন্ত আমাদের নিঃশ্বাস এবং শরীর থেকে এর গন্ধ বেরোতে পারে, যা আমরা নিজেরা টের পাই না । পাশের কেউ সহজেই বুঝতে পারে । এজন্যে পেঁয়াজ, রসুন এমনকি কিছু গ্রীষ্মকালীন ফলের গন্ধের ব্যাপারেও সাবধান থাকা উচিত ।

যদি এলার্জির জন্যে সুগন্ধি লাগাতে না পারেন তাহলে হাঁটুর ভাঁজে সুগন্ধি কোনো পাউডার বা ক্রিম লাগাতে পারেন । হাত বা মুখের পাশে লাগাবেন না । এলার্জি থাকলে স্প্রে- ও ব্যবহার করবেন না । এতে এলকোহল থাকে ।

যে সুগন্ধিতে তেলের পরিমাণ বেশি, সে সুগন্ধি ত্বকে বেশিক্ষণ থাকে । যদি আপনার এতে অসুবিধে হয় তাহলে আপনি আর্দ্র কোনো ক্রিম ব্যবহার করে নিয়ে সেন্ট ব্যবহার করবেন ।

গরমে গন্ধ বেশি ছড়ায় তাই গরমের সময় কোনো কড়া সুগন্ধি ব্যবহার না করাই ভালো । হালকা মিষ্টি গন্ধ ব্যবহার করলে দেখবেন কেমন একটা আমেজ লাগছে । আবার শীতের সময় উষ্ণ এবং কড়া কিছু ব্যবহার করা যায় । সুগন্ধি আবহাওয়া অনুযায়ী অবশ্যই পরিবর্তিত হওয়া উচিত ।

1. সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিচের তথ্যগুলো জানা প্রয়োজন

2. গ্রীষ্মে কড়া সুগন্ধি ব্যবহার করবেন না ।

3. শীতে উষ্ণ কড়া সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন ।

4. কাপড়ে সুগন্ধি লাগাবেন না, এতে কাপড়ের সুতো নষ্ট হয় এবং খানিকক্ষণ পরে থাকেও না ।

5. মুক্তোর গহনায় যাতে সুগন্ধি না লাগে খেয়াল রাখবেন । এতে মুক্তোর দ্যুতি নষ্ট হয় ।

6. স্বর্ণালংকার পরে পারফিউম লাগাবেন না । পারফিউম আগে ব্যবহার করুন । পাঁচ মিনিট পরে গহনা পরতে পারেন ।

7. সুগন্ধি অন্ধকারে ঠান্ডা জায়গায় রাখবেন ।

8. সুগন্ধি বেশি দিন ঘরে জমিয়ে রাখবেন না । তাহলে ব্যবহারের যোগ্য থাকে না ।

9. সুগন্ধি বোতলের মুখে স্ফটিক জাতীয় আবরণ থাকলে ওটা কখনো গায়ে লাগাবেন না । আপনার ত্বকে ব্যাকটেরিয়া থাকলে এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে ।

10. সুগন্ধিতে এলার্জি থাকলে ব্যবহার করা উচিত নয় ।

11. সুগন্ধি দ্রব্য বাইরে বেরোবার আগ মুহূর্তে না লাগিয়ে ৫/১০ মিনিট আগে ব্যবহার করুন ।

12. তৈলাক্ত ত্বকে সুগন্ধি বেশিক্ষণ থাকে । যাদের ত্বক শুষ্ক তারা কোনো ক্রিম, লোশন ব্যবহার করার পর সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন ।

সুগন্ধি ব্যবহার করলে মনে একটু তাজা ভাব আসে । তবে বিশেষ কোনো মানসিক পরিবর্তন বা আচ্ছন্নতা সৃষ্টি হয় না । আর সুগন্ধির প্রতিক্রিয়া জনে জনে ভিন্ন হতে পারে । তাই একজনের কাছে যা অমৃত তা অন্যের কাছে হতে পারে বিষ । ব্যক্তিগত রুচিরই প্রাধান্য পায় সুগন্ধি ব্যবহারে ।

সুগন্ধি দেহের বিশেষ স্পটে লাগান । যেমন: কনুইয়ের ভাঁজে, কব্জির ভেতর দিকে । হাঁটুর পেছনে । এছাড়া এক টুকরো তুলোয় সুগন্ধি ভিজিয়ে শরীরের ভেতরে পোশাকের মধ্যে সুবিধা মতো জায়গায় রেখে দিতে পারেন । গ্রীষ্মকালে হালকা গন্ধের এবং শীতকালে কোনো ভারী ধরনের পারফিউম ব্যবহার করা উচিত । পারফিউমের মধ্যে কয়েকটি শ্রেণী রয়েছে যা শ্রেণী ভেদে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগাতে হয় ।

যেমন:

i. এন্টি-পারপিরেন্ট: এটি ঘাম প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয় । সেজন্যে এটি শুধু বগলেই ব্যবহার হয়।
ii. ডিওডোরেন্ট: এই সুগন্ধিটি দেহের অবাঞ্ছিত গন্ধকে দূর করতে সাহায্য করে । তাই সারা দেহেই ব্যবহার করা যায়।
iii. কোলন: এই সুগন্ধিটি স্নানের পর ব্যবহার করা হয়। এটি সারা শরীরে লাগাতে পারেন । এর কাজ হলো দেহের তাপ কমিয়ে দেহ ঠান্ডা রাখা।

টিপ

সবশেষে পোশাকের সাথে মানিয়ে ইচ্ছে অনুসারে কপালে টিপ পরতে পারেন । বাজারে আজকাল হরেক রকমের টিপ পাওয়া যায় । এটি মুখমণ্ডলের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করে । তবে টিপ মুখমণ্ডলের প্রকার ভেদে পরা উচিত ।

তা না হলে মুখমণ্ডলের সৌন্দর্যবৃদ্ধির চেয়ে সৌন্দর্যহানি ঘটাবে । আমাদের মুখাকৃতি বিভিন্ন ধরনের । গোলাকার, লম্বাটে, চ্যাপটা, চৌকো ইত্যাদি । সব মুখেই সব ধরনের টিপ মানায় না । তাই জেনে নিন কোন মুখে কোন ধরনের টিপ পরলে আপনাকে সুন্দর লাগবে ।

i. গোলাকার মুখে লম্বা ধরনের টিপ পরুন । এতে মুখ একটু লম্বাটে মনে হবে ।
ii. লম্বাটে মুখে গোলাকৃতির টিপ পরুন । তাহলে আপনার মুখ খানিকটা গোল মনে হবে ।
iii. চ্যাপটাকৃতির মুখে সাধারণত টিপ মানাতে চায় না । তবুও যদি পরেন লম্বাটে ধরনের টিপ পরবেন ।
iv. চৌকো ধরনের মুখে মোটেও টিপ মানাতে চায় না । যদিও পরেন শুধু লম্বাটে ধরনের টিপ পরবেন । লম্বাটে অনেক ধরনের হয় । তার মধ্যে যেটি মানায় সেটি পরবেন ।

সাজগোজের ব্যাকরণ অনুসরণ করে আপনি নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পারেন অপরূপা নারীতে ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here