Rules You Start Exercising Free Tips – কোয়ান্টাম ব্যায়ামের নিয়মাবলি ব্যায়াম শুরু করার আগে জেনে নিন
Rules You Start Exercising – কোয়ান্টাম ব্যায়ামের নিয়মাবলি: যোগ (Yoga) হল প্রাচীন ভারতে উদ্ভূত এক বিশেষ ধরনের শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন প্রথা। শরীর, মন সুস্থ ও সবল রাখতে এবং রোগ মুক্তিতে যোগাসনের ভূমিকা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। এই প্রথা সারা বিশ্বে আজও প্রচলিত আছে। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কোয়ান্টাম ব্যায়ামের নিয়মাবলি (Rules You Start Exercising)। কোয়ান্টাম ব্যায়ামের নিয়মাবলি নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।
কোয়ান্টাম ব্যায়ামের নিয়মাবলি
1. কোয়ান্টাম ব্যায়াম করার সময় আরামদায়ক ঢিলেঢালা পোশাক পরুন ।
2. একেবারে খালি পেটে অথবা একেবারে ভরপেটে ব্যায়াম করা উচিত নয় । হালকা কিছু খেয়ে ব্যায়াম করা যায় । যেমন: ভেজানো কাঁচা ছোলা (২/৩ টেবিল চামচ) অথবা ২/৩ টুকরো কাঁচা পেঁপে ।
3. খুব শক্ত বা নরম জায়গায় ব্যায়াম করা উচিত নয় । কার্পেট বা কাঁথাকম্বল বিছিয়ে তার ওপর চাদর দিয়ে ব্যায়াম করা উচিত ।
4. পূর্ণ আহারের তিন থেকে চার ঘণ্টা পরে ব্যায়াম করা উচিত ।
5. আলোবাতাসপূর্ণ খোলা জায়গায় ব্যায়াম করা ভালো ।
6. শীতের সময় ঘরের দরজা-জানালা খুলে বাতাস প্রবেশ করিয়ে নিয়ে ব্যায়াম করুন । এতে প্রচুর অক্সিজেন ঘরে প্রবেশ করবে ।
7. কোয়ান্টাম ব্যায়াম করার সময় কথা বলবেন না, কোনো রকম গানবাজনা শুনবেন না; বরং যে আসন করছেন সে আসনের উপকারিতার বিষয়গুলো মনছবি করুন অর্থাৎ কল্পনা করুন ও বিশ্বাসের সাথে অনুভব করুন ।
8. মেয়েদের মাসিক চলাকালে ব্যায়াম করা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ । মাসিক ভালো হওয়ার এক দিন পর ব্যায়াম শুরু করুন ।
9. ব্যায়াম শেষে ১০ মিনিট শিথিলায়ন বা শবাসন করে শরীর ঠান্ডা করে নিয়ে গোসল করুন । কারণ ব্যায়াম করার ফলে শরীরে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায় । তাই হঠাৎ করে যাতে গরম/ঠান্ডা না লাগে সেজন্যে শিথিলায়ন করে পরে গোসল করুন ।
10. প্রতিদিন সম্ভব হলে একঘণ্টা হাঁটুন ।
11. ব্যায়াম করার সময় টয়লেটে যাওয়ার প্রয়োজন হলে টয়লেট সেরে ব্যায়াম করুন । পেশাব-পায়খানা চেপে রেখে ব্যায়াম করা উচিত নয় ।
12. ব্যায়ামের আগে পাঁচ মিনিট হলেও শবাসনে শিথিলায়ন করে মনকে স্থির করে নিয়ে ব্যায়াম শুরু করুন ।
13. প্রতিদিন ১০/১২ টি আসন করতে পারেন ।
14. প্রাণায়াম বা মুদ্রা খালি পেটে করাই ভালো ।
15. কোয়ান্টাম ব্যায়াম করার সময় শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন । শুধুমাত্র প্রাণায়াম ও মুদ্রায় নিয়ম অনুসারে দম নেবেন ও ছাড়বেন ।
16. কোনো আসন একবারেই সঠিক ভঙ্গিমায় জোর করে করার চেষ্টা করবেন না । সহজভাবে শরীরকে ব্যায়ামের ভঙ্গিমায় যতটুকু নিতে পারেন ততটুকুই করুন । আস্তে আস্তে শরীর নমনীয় হলে ভঙ্গিমা সঠিক হবে । তা না হলে হঠাৎ করে শরীরের কোনো জায়গায় টান পড়তে পারে কিংবা মেরুদণ্ডে, ঘাড়ে, কোমরে টান লেগে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে । তাই ধীরে ধীরে শরীরকে সঠিক ভঙ্গিমায় আনার চেষ্টা করুন ।
17. কোয়ান্টাম ব্যায়াম যেকোনো সময়ই করা যায়, তবে সকাল বা সন্ধ্যায় করাই ভালো ।
18. সন্তানসম্ভবা হলে সহজ আসন, প্রাণায়াম করা গেলেও মুদ্রা করা থেকে পুরোপুরি বিরত থাকতে হবে ।
19. সন্তান প্রসবের পর মায়েদের যে রক্তক্ষরণ হয় সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ হলে আবার আস্তে আস্তে ব্যায়াম শুরু করা যেতে পারে ।
20. গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শেই ব্যায়াম করা উচিত ।
21. হাই ব্লাড প্রেশার, স্লিপড ডিস্ক, সারভাইকেল বা লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস, হার্টের অসুখ, করোনারি থ্রম্বসিস, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, চোখের অসুখ, যেমন: রেটিনাল হেমোরেজ ইত্যাদি রোগে যারা ভুগছেন তারা সামনের দিকে ঝোঁকা (forward bending) ব্যায়াম এবং শীর্ষাসন একেবারেই করবেন না ।
22. পেপটিক আলসারের (গ্যাসট্রিক ও ডিয়োডেনাল) রোগীরা পেটের ওপর চাপ লাগে এমন ব্যায়াম করবেন না । যেমন পশ্চিমোত্তানাসন, জানুশিরাসন ইত্যাদি ।
23. যক্ষ্মা, প্লুরিসি, জন্ডিস, কিডনির অসুখ হলে পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যায়াম, আসন বা মুদ্রা করা উচিত নয় ।
24. অপারেশনের মাধ্যমে বাচ্চা হওয়ার তিন মাস পরেই ব্যায়াম করা যায় । প্রথমে হালকা ব্যায়াম ও আস্তে আস্তে সব ব্যায়ামই করা যাবে, যদি শারীরিক অন্য কোনো সমস্যা না থাকে ।
25. গলব্লাডার, এপেন্ডিকসসহ অন্যান্য অঙ্গের অপারেশন হলে ছয় মাস পরেই ব্যায়াম করা যায় যদি ডাক্তারের নিষেধ না থাকে ।
26. হার্টের অপারেশন হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে ব্যায়াম করা উচিত ।
27. সামনের দিকে ঝোঁকা কয়েকটি ব্যায়ামের পর অবশ্যই পেছনের দিকে ঝোঁকা একটি ব্যায়াম করা উচিত ।
28. কথায় বলে, ‘মন ভালো তো সব ভালো’ । তাই সবসময় মনকে শান্ত ও প্রফুল্ল রাখুন । দুশ্চিন্তামুক্ত প্রশান্ত মনের জন্যে ব্যায়াম এবং তার সাথে মেডিটেশন করুন । ব্যায়াম এবং ধ্যান-দুটো মিলেই সুস্থ ও আনন্দময় জীবন ।
29. বয়স ৩৫ থেকে ৪০ হলে অবশ্যই রক্তের লিপিড প্রোফাইল করে নিন । ৪০ বছর বয়সের পর বছরে দুবার রক্তের লিপিড প্রোফাইল করুন ।
30. বয়স ৩৫ থেকে ৪০ হলে একবার ব্রেস্ট -এর মেমোগ্রাফি করে নিন ।
31. বয়স ৩৫ থেকে ৪০ হলে বোন মিনারেল ডেনসিটি (BMD) টেস্ট করে নিন । হাড়ের ভেতর ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব জেনে নিন ।