Quantum Exercise Other Exercises – কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও অন্যান্য ব্যায়ামের মধ্যে পার্থক্য
Quantum Exercise Other Exercises – কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও অন্যান্য ব্যায়ামের মধ্যে পার্থক্য: যোগ (Yoga) হল প্রাচীন ভারতে উদ্ভূত এক বিশেষ ধরনের শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন প্রথা। শরীর, মন সুস্থ ও সবল রাখতে এবং রোগ মুক্তিতে যোগাসনের ভূমিকা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। এই প্রথা সারা বিশ্বে আজও প্রচলিত আছে। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি কোয়ান্টাম ব্যায়াম (Quantum Exercise) ও অন্যান্য ব্যায়ামের মধ্যে পার্থক্য । কোয়ান্টাম ব্যায়াম (Quantum Exercise) ও অন্যান্য ব্যায়ামের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।
কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও অন্যান্য ব্যায়ামের মধ্যে পার্থক্য
কোয়ান্টাম ব্যায়াম (Quantum Exercise) মূলত মনোদৈহিক ব্যায়াম । শারীরিক সুস্থতা মানসিক প্রাণবন্ততা-দুটোই অর্জিত হয় এর মাধ্যমে । কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও প্রচলিত সাধারণ ব্যায়ামের পার্থক্য আলোচনা করলেই বিষয়টি আমাদের কাছে আরো সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে ।
কোয়ান্টাম ব্যায়াম | অন্যান্য ব্যায়াম |
১. কোয়ান্টাম ব্যায়াম করার ফলে দেহ ও মন উভয়ই সুস্থ থাকে ৷ মানসিক প্রশান্তি লাভ করা যায় । | ১. প্রচলিত সাধারণ ব্যায়ামে শুধু শরীরের বাহ্যিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গেরই ব্যায়াম হয় । মানসিক প্রশান্তি অর্জিত হয় না । |
২. কোয়ান্টাম ব্যায়ামে শরীরের কোনো ক্ষয় হয় না; তাই ক্ষয়পূরণের জন্যে কোনো বিশেষ খাবারের প্রয়োজন হয় না । | ২. সাধারণ ব্যায়ামে শারীরিক ক্ষয়সাধন হয় । ফলে তা পূরণের জন্যে বাড়তি খাবারের প্রয়োজন হয় । |
৩. আমাদের শরীরে দুধরনের গ্রন্থি আছে । ১. বহিঃক্ষরা গ্রন্থি (Exocrine Gland) ও ২. অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি (Endocrine Gland) । এই অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিগুলো থেকে একপ্রকার রস নিঃসৃত হয় যার নাম হরমোন । কোয়ান্টাম ব্যায়াম এই এন্ডোক্রাইন গ্ল্যান্ডগুলো সুস্থ রেখে আমাদের শরীরে হরমোন প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে । | ৩. প্রচলিত সাধারণ ব্যায়ামে শরীরের বাহ্যিক ব্যায়ামই হয় । যেমন, অতিরিক্ত মোটা থাকলে তা কমাতে সাহায্য করে । কিন্তু হরমোন প্রবাহের ওপর এর কোনো প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে না । |
৪. কোয়ান্টাম ব্যায়াম মেরুদণ্ডে লম্বালম্বি ও আড়াআড়ি টান পড়তে সাহায্য করে । | ৪. সাধারণ ব্যায়ামে এটা সম্ভব না । |
৫. কোয়ান্টাম ব্যায়াম দ্বারা স্নায়ু ও পেশি সুস্থ রাখা সম্ভব । | ৫. সাধারণ ব্যায়ামে শুধু পেশিগুলোরই ব্যায়াম করা সম্ভব । স্নায়ুর ব্যায়াম হয় না । |
৬. সর্বোপরি কোয়ান্টাম ব্যায়ামের ফলে দেহ – মন উভয়ই সুস্থ থাকে বলে যৌবনকে দীর্ঘদিন ধরে রাখা সম্ভব হয় । দেহকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসে বলে ত্বকে ভাঁজ পড়ে না । | ৬. কিন্তু অন্যান্য ব্যায়াম খুব তাড়াতাড়ি শারীরিক স্থূলতা কমিয়ে নিয়ে আসে বলে ত্বকে ভাঁজ পড়ে বার্ধক্যের ছাপ তাড়াতাড়ি পড়ে । |
৭. কোয়ান্টাম ব্যায়ামে দেহের গড়ন সুগঠিত ও সুললিত হয় । চেহারায় কান্তি ও লাবণ্য বাড়ে । | ৭. সাধারণ ব্যায়ামে দেহ স্লিম হয় কিন্তু চেহারায় লাবণ্য থাকে না । দেখতে কাঠখোট্টা লাগে । তাই আজকাল পাশ্চাত্যে যোগ ব্যায়ামের চর্চা এত দ্রুত বাড়ছে । |
তাই শরীর সুস্থ, সুন্দর ও লাবণ্যময় করে গড়ে তোলার জন্যে কোয়ান্টাম ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই ।