Cook testy & delicious Polao in Bengali 25 minutes – পোলাও রান্নার রেসিপি
যে কোনো পূজা পার্বণে হোক বা ঘরোয়া কোনো অনুষ্ঠান হোক Polao রান্না বাঙালিদের পুরনো ঐতিহ্য। আজকে দেখে নেবো Polao সহজ ভাবে এবং খুবই সময়ের মধ্যে বানিয়ে কিভাবে নেওয়া যেতে পারে।
Polao বানাতে আমাদের কি কি করতে হবে
সুগন্ধি চাল বা বাসমতী আতপচাল লাগবে Polao বানাতে এটা আমরা সকলেই জানি। গোবিন্দভোগ চাল দিয়েও খুব ভালো Polao তৈরী করা যায়।সবিভিন্ন সবজি দিয়েও খুব ভালো পোলাও বানানো যায়, তবে এখানে সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে বানিয়ে নেওয়া হবে পোলাও যা প্রতিটা রান্না ঘরে সেই সব উপকরণ গুলি থাকে।
Polao বানাতে যে সব উপকরণ গুলি প্রয়োজন পরে-
1. বাসমতী আতপচাল (২৫০ গ্রাম) পরিমাণ মতো।
2. তেজপাতা বড় ২ টি।
3. মটরশুটি (খোসা ছাড়িয়ে ১ কাপ)।
4. লবঙ্গ ৩ – ৪ টি।
5. দারুচিনি ২ টি।
6. চিনি ২ টেবল চামচ।
7. ছোটো এলাচ ৪ – ৫ টি।
8. লবণ আন্দাজ মতো।
9. হলুদ আন্দাজ মতো।
10. পেঁয়াজ বড় ২ টি।
11. তেল পরিমাণ মতো।
12. জল প্রয়োজন অনুসারে।
Polao বানানোর পদ্ধতি গুলি কি
প্রথমে বাসমতী আতপচাল খুব ভালো করে বেশ কয়েকবার জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে এবং পরিষ্কার জলে চাল ভিজিয়ে রাখতে হবে।
এইবার একে একে সব মটরশুটির খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে এক মাপ মত। পেঁয়াজ মিহি করে কুচিয়ে রাখতে হবে।
যে সব মসলার জন্য উপকরণ নেওয়া হয়েছে সব গুলো থেঁতো করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন- ডিম দিয়ে পটল রেসিপি
Polao বানাতে মূল পর্ব দেখে নেব
প্রথমে গ্যাস ওভেন অন করে কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হ’লে তাতে তেল দিতে হবে। এবার তেল গরম হয়ে আসলে থেঁতো করে রাখা সব মসলাগুলো দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। এরপর কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজগুলো নাড়তে হবে। মটরশুটি এবং হলুদ এই সময় দিতে হবে। দু এক মিনিট নাড়াচাড়া করে ভেজে নিতে হবে। এই পযর্ন্ত গ্যাসের আঁচ মিডিয়াম টু লো তে রাখতে হবে।
চাল জল থেকে তুলে খুব ভালো করে জল ঝরিয়ে নিতে হবে তারপর কড়াইয়ে দিয়ে বেশ কয়েক বার নাড়াচাড়া করে জল দিতে হবে আন্দাজ মতো (জল এমন ভাবে দিতে হবে যাতে চাল সেদ্ধ হবে কিন্তু কোনো ফ্যান ফ্যান ভাব থাকবে না, ঝরঝরে হবে সেই মতো করে জলের পরিমাণ রাখতে হবে)। স্বাদ অনুসারে লবণ দিতে হবে ও ঢাকনি চাপা দিতে হবে। এই সময় গ্যাসের আঁচ মিডিয়াম to low তে রাখতে হবে।
গলে না যায় চাল সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে তাই খুব সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হবে। চাল সেদ্ধ হ’লে চিনি মিশিয়ে দিতে হবে এবং নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। গ্যাসের আঁচ এই সময় পুরো low করে দিতে হবে যাতে ভাত ঝরঝরে হয় (জল খুবই অল্প থাকলেও শুকিয়ে যাবে)। পোলাও সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি।
উপসংহার :
ছোটো বাচ্চা হোক বড় সকলেই এক ঘেয়ামি খাবারের স্বাদ বদল করতে Polao বানিয়ে নেওয়া যায় মাঝে মধ্যেই।
নিজস্ব মতামত : Polao খুব কম মসলা দিয়ে বানিয়ে নেওয়ার উপকরণ বলা হয়েছে। Tasty এর খাওয়ার সাথে সাথে Healthy থাকার কথাটাও ভাবতে লাগে যে, খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।
উপকারিতা/পুষ্টিগুণ
এই রেসিপিতে বেশ কিছু মসলা এবং সবজি নেওয়া হয়েছে আর সেই সবের পুষ্টি গুণ বা উপকারিতার কথা তুলে ধরা হ’ল :-
মটরশুটি খাওয়ার উপকারিতা /পুষ্টিগুণ:
মটরশুঁটি শীতকালীন সবজি হলেও এখন ধরতে গেলে সারা বছরই পাওয়া যায়। মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এতে ফ্যাট থাকে না বললেই চলে। এবং প্রোটিনের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। শুধু তাই নয় মটরশুঁটিতে ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা বর্তমান।
মটরশুঁটি নিয়মিত আহারে ওজন কমাতে সাহায্য করে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এবং চর্বি নেই বললেই চলে। তাই ওজন কমাতে বা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে থাকে।
কৃষক অসুখ বিসুখ দূর রাত করতে মটর শুটির ভূমিকা অপরিসীম কারণ এতে জিং ক আইরন এবং ক্যালসিয়াম ভরপুর। তাই নিয়মিত খেলে অসুখ বিসুখ থেকে দূরে থাকা যায়।
চুল পড়া দূর করতে মটরশুঁটির ভূমিকা রয়েছে। মটরশুঁটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বর্তমান তাই নিয়মিত মটরশুঁটি খেলে চুল পড়া অনেকটাই কমে। লৌহ কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে।
মটরশুঁটিতে ভিটামিন সি বর্তমান তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বা সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে এবং ক্ষতস্থান দ্রুত সারাতে সহযোগিতা করে থাকে।
বয়সের ছাপ কমাতে চান তাহলে আজ থেকেই প্রতিদিন নিয়ম করে মটরশুঁটি খাওয়া শুরু করুন। মটরশুটিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যারোটিন ও ক্যাটিসিন নামক উপাদান থাকায় ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
হজম শক্তি বাড়াতে মটরশুঁটির ভূমিকা অপরিসীম কারণ এতে ফাইবার বর্তমান এবং যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদের জন্য মটরশুঁটি খুবই উপকারী।
ভিটামিন “এ” থাকার জন্য দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। নিয়মিত মটরশুঁটি খাওয়ার ফলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা /পুষ্টিগুণ:
দারুচিনির সুগন্ধ তো আছে , সেই সাথে দারুচিনি রান্নার মশলার পাশাপাশি শরীর এবং ত্বকের জন্যও খুবই উপকার ।
১. চর্মরোগ সারাতে দারুচিনির দারুণ কার্যকারি ক্ষমতা রয়েছে।
২. গরম জলের সঙ্গে মধু এবং দারুচিনি গুঁড়ো করে জয়েন্টের জায়গায় বেশ কিছু দিন মালিশ করলে ব্যথা বা যন্ত্রণা অনেক হ্রাস পায়।
৩. আমরা জানি রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার জন্যই ডায়াবেটিস এর সমস্যায় ভোগেন। রক্তে শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে প্রায় দুই ইঞ্চি মতো দারুচিনি দিয়ে এক গ্লাস জল নিয়ে খুব ভালো করে ফুটিয়ে প্রায় এক কাপ মতো করে খেতে হবে চায়ের মতো। নিয়মিত পানে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. অনেকের হাঁটার সময়, সিঁড়ি ওঠা নামার সময় বুকে ব্যথা করে বা হয় তাদের ক্ষেত্রে চা চামচের এক চামচ জিরা গুঁড়া, ধনেগুঁড়া এক চা চামচ এবং চা চামচের অর্ধেক চামচ দারুচিনি একত্রে নিয়ে গরম জলে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চায়ের মতো পান করতে হবে এর ফলে কোলেস্টেরল এবং উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা দূর করে।
৫. গলা ব্যথা এবং খুশখুশে কাশির জন্যও খুবই উপকারী। মধুর সঙ্গে দারুচিনি গুঁড়ো করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৬. স্মৃতি শক্তি বাড়াতেও দারুচিনির ভূমিকা রয়েছে এক বা দু ইঞ্চি মতো দারুচিনি নিয়ে জলে ফোটাতে হবে খুব ভালো করে সেই জল খেতে হবে নিয়মিত তবে এটা মনে রাখতে হবে যে, যাদের অল্প বয়স তাদের ক্ষেত্রে নয়। বয়স জনিত কারণে স্মৃতি শক্তি কম হ’লে তবে তাদের জন্য উপকারী।
পরিশেষে :- এতক্ষণ বলা হয়েছে উপকারিতার কথা, শেষে কয়েকটি কথা না বললে অনেক অসম্পূর্ণ থেকেই যাবে। আমরা সবাই জানি যে, সব জিনিসের ভালো মন্দ দুটো দিকই থাকে তাই কোন জিনিস পরিমাণ মতো খাওয়া ভালো।
সেই সাথে এটাও ঠিক সব খাবার সবার জন্য সমান উপকারী নাও হতে পারে , তাই কোনো খাবার খাওয়ার আগে সেই বিষয়ে আগে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিয়েই খাওয়া উচিৎ।
দারুচিনি সবাই কিন্তু খেতে পারবে না, গর্ভবতী মায়েদের একদমই উচিৎ না দারুচিনি খাওয়া। এমনকি যারা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন তাও ভুল করে খাবেন না ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া।
1. পোলাও বানাতে ঘি না দিলে স্বাদের তারতম্য হতে পারে কি?
না, স্বাদের তেমন কোন সমস্যা সবে না।
2. হলুদ ছাড়া কি পোলাও বানানো যাবে?
হ্যাঁ,অবশ্যই বানানো যাবে।
3. হলুদ ছাড়া যে পোলাও বানানো হবে তাতে ঘি দেওয়া যেতে পারে?
হ্যাঁ, কোনো সমস্যা নেই তাতে।
4. সবজি দিয়ে কি পোলাও বানানো যাবে?
অবশ্যই যাবে।
5. ঘি এবং সবজি দিয়ে পোলাও বানালে কিছু সমস্যা হতে পারে?
না, তাতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নেই।