আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মহান পিয়ের লাপলাস জীবনী সমগ্র। মহান ব্যক্তি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। তাঁদের জীবনের ক্ষুদ্রতম অংশগুলি আমাদের জন্য শিক্ষামূলক হতে পারে। বর্তমানে আমরা এই মহান ব্যক্তিদের ভুলতে বসেছি। যাঁরা যুগ যুগ ধরে তাদের কর্ম ও খ্যাতির মধ্য দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন এবং জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প ও সাহিত্যের জগতে এক অনন্য অবদান রেখেছেন এবং তাঁদের শ্রেষ্ঠ গুণাবলী, চরিত্র দ্বারা দেশ ও জাতির গৌরব বৃদ্ধি করেছেন। সেইসব মহান ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম বিজ্ঞানী পিয়ের লাপলাস (Pierre Laplace) -এর সমগ্র জীবনী সম্পর্কে এখানে জানব।
পিয়ের লাপলাস এর জীবনী – Pierre Laplace Biography in Bengali
নাম | পিয়ের সিমোঁ মার্কি দ্যু-লাপ্লাস |
জন্ম | ২৩শে মার্চ, ১৭৪৯ |
জাতীয়তা | ফরাসি |
কর্মক্ষেত্র | জ্যোতির্বিদ এবং গণিতবিদ |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | একোল মিলিতের (১৭৬৯-১৭৭৬) |
মৃত্যু | ৫ মার্চ ১৮২৭ (বয়স ৭৭) |
পিয়ের লাপলাস কে ছিলেন? Who is Pierre Laplace?
বিশ্ব-গণিত ইতিহাসে এক দ্যুতিময় প্রতিভার নাম পিয়ের লাপলাস। সম্পূর্ণভাবে লিখতে গেলে তাঁর নাম দাঁড়ায় এরকম, মার্কুইস পিয়ের সিমোঁ মার্কি দ্যু-লাপ্লাস ১৭৪৯ খ্রিঃ ২৩শে মার্চ নর্মান্ডির বিমত নামের ছোট্ট শহরে অতি সাধারণ এক পরিবারে অঙ্কবিজ্ঞানী লাপলাসের জন্ম।
সামান্য কিছু জমির আয়েই প্রতিপালিত হত তাঁদের পরিবারটি। ফলে নিত্য অভাব ছিল বাঁধা নিয়মের মধ্যে। তাই ছেলেবেলায় লাপলাসের লেখাপড়া বাধার মধ্য দিয়েই এগিয়েছিল।
পিয়ের লাপলাস এর জন্ম: Pierre Laplace’s Birthday
অসাধারণ মেধা এবং অঙ্কের প্রতি আকর্ষণ ছিল তাঁর সহজাত। গরীব ছেলেটির পড়াশুনা যাতে বন্ধ হয়ে না যায় তার জন্য সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন সহৃদয় আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁরাই ভার নেন লাপলাসের লেখাপড়ার মাত্র ১৮ বছর বয়সে কায়েন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাপলাস স্নাতক হন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিমঁতের সামরিক স্কুলে শিক্ষকতার কাজও পেয়ে যান।
পিয়ের লাপলাস এর শিক্ষাজীবন: Pierre Laplace’s Educational Life
স্কুলে লাপলাস ছাত্রদের পড়াতেন অঙ্ক ও বিজ্ঞান। ছেলেদের পড়ানোর পাশাপাশি গবেষণার কাজও শুরু করেন। স্বপ্ন দেখেন বড় বিজ্ঞানী হওয়ার।
অতি অল্প সময়ের মধ্যেই সুযোগ্য শিক্ষক হিসেবে বিমঁত শহরে লাপলাসের নাম ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্ররা মুগ্ধ হয় তাঁর অতি কঠিন বিষয়ও অতি সরল সহজবোধ্য ভাবে বোঝাবার কায়দায়।
আরও পড়ুন: আর্কিমিডিস জীবনী
সামরিক বিদ্যালয়ে বেশি দিন কাজ করতে পারেননি লাপলাস। উচ্চাকাঙ্ক্ষা তাঁকে এক সময় নিয়ে এল প্যারিসে। সেইকালে প্যারিস ছিল ইউরোপের জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার অন্যতম পাদপীঠ। গণিতের সুখ্যাত পন্ডিত দ্য আলেমবাৎ বাস করতেন সেখানে।
পিয়ের লাপলাস এর কর্ম জীবন: Pierre Laplace’s Work Life
১৭৬৭ খ্রিঃ লাপলাস গণিতের উচ্চতর শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে প্যারিসে এলেন আলেমবাতের সঙ্গে দেখা করবার জন্য।
এখানে বলবিদ্যার কিছু গাণিতিক সূত্রের মধ্যস্থতায় অতি নাটকীয়ভাবে আলেমবাতের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল উত্তরকালের বিশ্বগণিতের অন্যতম মনীষীর। লাপলাস পেলেন গভীরতর গবেষণার সুযোগ।
প্রথম সাফল্যই লাপলাসকে বিজ্ঞানীমহলে পরিচিত করে তুলল। তাঁর এই কাজটি ছিল সৌরবলবিদ্যার গাণিতিক প্রয়োগ।
সেই সময়ে নিউটন সহ অন্যান্য পদার্থ বিজ্ঞানীরা কক্ষ থেকে নক্ষত্রদের চ্যুতির কারণ অনুসন্ধানের কাজে হিমসিম খাচ্ছিলেন। অঙ্ক নির্দেশিত সৌরপথ থেকে বৃহস্পতি বা শনি এই দুই গ্রহ কখনো খানিকটা এগিয়ে আবার কখনো বেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকে।
পিয়ের লাপলাস এর গবেষনা: Pierre Laplace’s Medical Research
পদার্থ বিজ্ঞানীরা এই রহস্যময় বিষয়টির কোন ব্যাখ্যা করতে পারছিলেন না। সৌরজগতের এমনি নানা রহস্যেরই কূলকিনারা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না।
এই সমস্যাকে সমাধান করার জন্য লাপলাস দাঁড় করালেন এক তত্ত্ব। বলাবাহুল্য, গাণিতিক পথেই তিনি তা করলেন।
আরও পড়ুন: জনাস সল্ক এর জীবনী
তিনি দেখালেন, সৌরপথে নক্ষত্রদের এই চ্যুতি বা অপসরণ কোন নতুন ঘটনা নয়। যুগ যুগ ধরে একই অবস্থা চলছে। নক্ষত্ররা ঘুরে ফিরে নিজেরাই নিজেদের ভারসাম্য ঠিক রেখে চলেছে। এই বিচ্যুতি কখনোই মহাশূন্যে কোন বিপর্যয়ের কারণ ঘটাবে না।
লাপলাসের এই তত্ত্ব জ্যোতির্বিজ্ঞানের গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন দ্বার উন্মুক্ত করল।
এরপরে তিনি নতুন গবেষণা আরম্ভ করলেন মহাবিশ্ব ও মহাপ্রকৃতির মৌলশক্তিগুলির বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে।
এই সময়েই বিভিন্ন সৌর ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে একের পর এক প্রবন্ধ প্রকাশ করতে থাকেন লাপলাস। তাঁর আলোচিত বিষয়গুলো ছিল- নদীর জলের জোয়ার ভাঁটা, মহাকর্ষবল, প্রক্ষিপ্ত বস্তুর গতি, শনিমন্ডলের গঠন ও আবর্তন প্রভৃতি।
এই সময়েই তিনি আবর্তনশীল তরলের ভরের সাম্য অবস্থার ওপরে এক নতুন তত্ত্ব দাঁড় করালেন। লাপলাসের নিবিড় গবেষণার কাজ চলছিল প্যারিসের বিজ্ঞান আকাদেমিতে। এখানে তিনি রসায়ন বিজ্ঞানী ল্যাভয়সিয়ারের সঙ্গেও কাজ করেছেন। তাঁদের দুজনের মিলিত গবেষণার দ্বারা বিভিন্ন বস্তুর আপেক্ষিক তাপ ও দহনের ওপরে নানা বৈজ্ঞানিক তথ্য আহৃত হয়।
আধুনিক থার্মোডাইনামিক্স বা তাপীয় গতিবিদ্যা বিষয়ের লাপলাসই প্রথম সূত্রপাত করেছিলেন। আইসক্যালোমিটার নামে একটি নতুন যন্ত্র তিনি উদ্ভাবন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ফিলিপ এডোয়ার্ড অ্যান্টন ভন লেনার্ড জীবনী
বরফের তাপ পরিমাপক এই যন্ত্রের সাহায্যে কোন বস্তুর আপেক্ষিক তাপ নিরূপণ করা সম্ভব হয়।
এই সময়ে নানা বিষয়ের ওপরে পর পর গবেষণা করতে থাকেন লাপলাস। অবিচ্ছিন্ন গতিযুক্ত কোনও ভৌত পদার্থের কোন নির্দিষ্ট সময়ে বিভবকে গণনা করার জন্য তিনি যে সমীকরণ তৈরি করেন, তাঁর নামেই সেই সমীকরণের নামকরণ করা হয়।
কেবল অভিকর্ষ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেই নয়, তাঁর উদ্ভাবিত সমীকরণটি বর্তমানে তড়িৎবিজ্ঞান, উদগতিবিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞানের নানা শাখাতেও ব্যবহার করা হয়।
কান্ট নামে এক বিজ্ঞানী নির্ণয় করেছিলেন, মহাকাশের নীহারীকাপুঞ্জ অথবা সদাআবর্তনশীল গ্যাসের মধ্য থেকেই এই মহাবিশ্বের উদ্ভব হয়েছে। তাঁর মতে প্রথম অবস্থায় এই গ্যাস ছিল প্রচন্ড উত্তপ্ত।
সময়ের গতির সঙ্গে গ্যাস উত্তাপ হারিয়ে যখন শীতলতা প্রাপ্ত হতে থাকে তখনই তার কেন্দ্রের পাথর ও নানান গলিত ধাতব গ্যাসীয় মন্ডল থেকে বাইরে ছিটকে পড়ে। কোটি কোটি বছর ধরে ঠান্ডা হয়ে জমাট বাঁধে। এইভাবেই সৃষ্টি হয়েছে সৌর জগতের গ্রহ নক্ষত্রদের।
পিয়ের লাপলাস এর পত্রপত্রিকা: Journal of Pierre Laplace
লাপলাস কান্টের এই মতকে সমর্থন করেন এবং নিজ গবেষণা দ্বারা পুষ্ট করে তোলেন।
মহাবিশ্বের সৃষ্টিরহস্য নিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদের চূড়ান্ত মীমাংসা আজও পর্যন্ত হয়নি। বিশ্বের নানা প্রান্তেই বিষয়টি নিয়ে চলেছে গভীর গবেষণা। এই গবেষণার একমাত্র প্রমাণসূত্র হিসেবে কান্ট ও লাপলাসের ব্যাখ্যাকেই স্বীকার করা হয়ে থাকে।
১৭৯৯ খ্রিঃ থেকে ১৮২৫ খ্রিঃ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে লাপলাসের জ্যোর্তিবিজ্ঞানের নানা গবেষণা ফ্রান্সের বিজ্ঞান আকাদেমির নানা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এই লেখাগুলোই একত্রিত করে পরে তিনি পাঁচটি সুবৃহৎ খন্ডে প্রকাশ করেন। গ্রন্থের নামকরণ করেন Mecanique Celestic বা জ্যোতির্বলবিদ্যা। গ্রন্থের বিভিন্ন খন্ডে লাপলাস বিধৃত করেছেন জ্যোতির্বলবিদ্যার ধারাবাহিক ইতিহাস সহ বিভিন্ন গাণিতিক সূত্র ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের সৌরবিজ্ঞান ও বলবিদ্যার নানা সমস্যার সমাধান।
পদার্থবিজ্ঞানকে সর্বসাধারণের বোধগম্য করার উদ্দেশ্যে লাপলাস তাঁর বইতে ব্যবহার করেছেন সহজ সরল ভাষা। ফলে তাঁর গ্রন্থ লাভ করেছিল অসাধারণ জনপ্রিয়তা।
উৎসাহিত হয়ে তিনি জ্যোতির্বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কারের ব্যাখ্যা করে দ্বিতীয় একটি বই প্রকাশ করেন। ১৮১২ খ্রিঃ প্রকাশিত হয় লাপলাসের তৃতীয় গ্রন্থ থিওরি অ্যানালিটিক দেস প্রবাবিলিটিস। এই গ্রন্থে তিনি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সূত্রের সম্ভাবনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
পিয়ের লাপলাস এর আবিষ্কার: Discovery by Pierre Laplace
বিজ্ঞানী হিসাবে বহু মহৎ আবিষ্কারেরই জনক ছিলেন লাপলাস ৷ তাঁর নানা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে তরুণ বিজ্ঞানীদের সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছেন প্রচুর। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় যে, এইসব বিজ্ঞানীদের কারো প্রতিই সামান্যতম কৃতজ্ঞতাও তিনি তাঁর গ্রন্থে কোথাও করেননি। সার্থক গবেষণাগুলির সূত্র বা উৎস সম্পর্কেও তিনি কোন আভাস রাখেননি।
ব্যক্তি হিসেবে বিচার করলে এই মনীষী সম্পর্কে একটি অপ্রিয় মন্তব্য করতে হয়, লাপলাস ছিলেন চুড়ান্ত সুবিধাবাদী ও স্বার্থপর মানুষ। নিজের কাজের সুযোগ সুবিধা লাভের জন্য তিনি সমকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক তন্ত্রের সমর্থন করে গেছেন বরাবর।
ফরাসী বিপ্লবের কালে দেশে ঘন ঘন রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটেছে। যখন যে নায়ক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন লাপলাস নির্বিচারে তারই সমর্থন করে গেছেন। এ ব্যাপারে কোনরকম রাখঢাক ছিল না তাঁর।
১৭৯২ খ্রিঃ ফরাসী বিপ্লব কালে বিপ্লবীদের হাতে নিহত হন সম্রাট ষোড়শ লুই ও রানী আঁতোয়ানেৎ। রাজতন্ত্রের বদলে দেশে প্রতিষ্ঠিত হল বিপ্লবী সরকার। আর এই সরকারেরই অধীন উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন লাপলাস ।
এই সময়ে বিপ্লবীদের অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে নানা সুযোগ সুবিধা ও পদোন্নতি আদায় করেছিলেন তিনি।
এর পরেই নেপোলিয়নের যখন উত্থান ঘটল, সাম্য-মৈত্রী ও স্বাধীনতার পূজারী লাপলাস রাতারাতি হয়ে গেলেন রাজতন্ত্রের একান্ত অনুগত। তাঁর চাটুকারিতা কতদূর পৌঁছেছিল বোঝা যায়, যখন দেখি তিনি তাঁর একটি গবেষণা গ্রন্থ উৎসর্গ করেছেন নেপোলিয়নের নামে।
আরও পড়ুন: মার্শাল ওয়ারেন নীরেনবার্গ জীবনী
নেপোলিয়নের পতনের পর ফ্রান্সের রাজাসনের দখল নেয় বুর্বো বংশের রাজারা। লাপলাসের নেপোলিয়ন ভক্তিও সঙ্গে সঙ্গে উবে গেল। তিনি শুরু করলেন নেপোলিয়নের সমালোচনা এবং তোষামোদ শুরু করলেন বুর্বো বংশের রাজাদের। এই অন্ধ রাজভক্তিরই পরিণাম তাঁর মার্কুইস উপাধি লাভ।
এই ভাবেই নিজের ব্যক্তিত্বকে বারবার খর্ব করেছেন লাপলাস। নিজের সুযোগ সুবিধা লাভই ছিল তাঁর মুখ্য উদ্দেশ্য। বস্তুতঃ তিনি ছিলেন এক আদর্শহীন বিজ্ঞানী। অপরদিকে নিজের মনীষাকে তিনি নিয়োগ করেছিলেন বিজ্ঞানের সেবায় যা মানববিজ্ঞানের ইতিহাসকে করেছে উজ্জীবিত। একই সত্তার এই দ্বৈতরূপ আমাদের বিস্ময় উৎপাদন করে।
অক্লান্ত নিষ্ঠায় নিজেকে বিজ্ঞানসাধনায় নিয়োজিত রেখেছিলেন লাপলাস। শেষ জীবনে তিনি বসবাস করেছেন আর্তুল শহরে। দেশবিদেশের বিজ্ঞানীরা এখানেই আসতেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে।
আরও পড়ুন: পিয়ের লাপলাস উইকিপিডিয়া
তরুণ বিজ্ঞানীদের গবেষণার কাজে সাহায্য সহযোগিতা করতে তিনি কখনো কার্পণ্য করেননি। এতেই বোঝা যায় বিজ্ঞান সাধনার প্রতি তাঁর আন্তরিক আকর্ষণ ছিল কত গভীর।
পিয়ের লাপলাস এর মৃত্যু: Pierre Laplace’s Death
দীর্ঘ জীবনকাল পেয়েছিলেন লাপলাস। আটাত্তর বছর বয়সে ১৮২৭ খ্রিঃ আর্কুল শহরেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।