দৃষ্টিদান করার পদ্ধতি ও উপকারিতা: যোগ (Yoga) হল প্রাচীন ভারতে উদ্ভূত এক বিশেষ ধরনের শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন প্রথা। শরীর, মন সুস্থ ও সবল রাখতে এবং রোগ মুক্তিতে যোগাসনের ভূমিকা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। এই প্রথা সারা বিশ্বে আজও প্রচলিত আছে। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি দৃষ্টিদান করার পদ্ধতি ও উপকারিতা। দৃষ্টিদান করার পদ্ধতি ও উপকারিতা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।
আসুন যেনে নিই দৃষ্টিদান আসন করার পদ্ধতি ও উপকারিতা – Methods and Benefits of Seating – Free Tips
দৃষ্টিদান আসন করার পদ্ধতি:
প্রথমে পদ্মাসন বা সুখাসনে বসুন। অর্থাৎ যেভাবে আরাম অনুভব করেন সেভাবেই বসুন । তবে যে আসনই হোক না কেন- মেরুদণ্ড সোজা টানটান রেখে বসবেন।
এবার সামনে মাটিতে একটি বিন্দু অথবা চিহ্ন স্থাপন করুন এবং তার দিকে তাকিয়ে থাকুন এক সেকেন্ড। এরপর ওপরের দিকে (আপনার ঘরের ছাদের দিকে)
আরও পড়ুন-
একটি পয়েন্ট আগে থেকেই ঠিক করে নিয়ে সেদিকে তাকান এবং এক সেকেন্ড অবস্থান করুন। দৃষ্টি এবার ডান দিকে (ওপরের ছাদের দিকে) একটি পয়েন্ট ভেবে নিয়ে চোখের মনি ঘুরিয়ে তাকান। এক সেকেন্ড অবস্থান করুন। আবার নিচের পয়েন্টে তাকান। এভাবে প্রথমে ডান দিকে ও পরে বাম দিকের পয়েন্ট ঠিক করে একইভাবে করুন।
অর্থাৎ নিচে-ওপরে-ডানে-নিচে- এভাবে সাত থেকে ১০ বার চোখের মনি ডানে-নিচে- এভাবে সাত থেকে ১০ বার চোখের মনি ঘোরান। আবার নিচে-ওপরে-বামে-নিচে- এভাবে চোখের মনি ঘোরান সাত থেকে ১০ বার। প্রত্যেকবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করে এক সেকেন্ড অবস্থান করুন।
মেরুদণ্ড সোজা রেখে ঠিকভাবে বসবেন। মাথা নড়বে না। শুধু চোখের মনি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে করবেন।
দৃষ্টিদান আসন করার উপকারিতা
1. এ আসনটিতে চোখের বিশেষ উপকার হয়। দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। চোখের এলার্জি থাকলে তার উপশম হয়। চোখের নার্ভগুলোতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেয়ে চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । অল্পবয়স থেকেই এ আসন অভ্যাস করলে দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকে, চশমা পরতে হয় না।
বি.দ্র. : চোখের কঠিন অসুখে ভুগলে এ ব্যায়াম করা যাবে না। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।