ইয়োহানিস গুটেনবার্গ জীবনী – Johannes Gutenberg Biography In Bengali

ইয়োহানিস গুটেনবার্গ জীবনী - Johannes Gutenberg Biography In Bengali
ইয়োহানিস গুটেনবার্গ জীবনী - Johannes Gutenberg Biography In Bengali

আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মহান ব্যক্তিদের জীবনী সমগ্র (ইয়োহানিস গুটেনবার্গ)। মহান ব্যক্তি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। তাঁদের জীবনের ক্ষুদ্রতম অংশগুলি আমাদের জন্য শিক্ষামূলক হতে পারে। বর্তমানে আমরা এই মহান ব্যক্তিদের ভুলতে বসেছি। যাঁরা যুগ যুগ ধরে তাদের কর্ম ও খ্যাতির মধ্য দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন এবং জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প ও সাহিত্যের জগতে এক অনন্য অবদান রেখেছেন এবং তাঁদের শ্রেষ্ঠ গুণাবলী, চরিত্র দ্বারা দেশ ও জাতির গৌরব বৃদ্ধি করেছেন। সেইসব মহান ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ইয়োহানিস গুটেনবার্গ (Johannes Gutenberg) -এর সমগ্র জীবনী সম্পর্কে এখানে জানব।

Johannes Gutenberg Biography In Bengali – ইয়োহানিস গুটেনবার্গ জীবনী

নামজোহানেস গুটেনবার্গ
জন্ম1398
পিতাFriele Gensfleisch zur Laden
মাতাElse Wyrich
জন্মস্থানরোমান সাম্রাজ্য
জাতীয়তাজার্মান
পেশাখোদাই কাজ, আবিস্কারক এবং মুদ্রাকর
মৃত্যু3 ফেব্রুয়ারি 1468 (বয়স প্রায় 68)

জোহানেস গুটেনবার্গ কে ছিলেন? Who is Johannes Gutenberg?

মানব সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে মুদ্রণযন্ত্রের সম্পর্ক অতি গভীর এবং ওতপ্রোত। লিখতে শেখার পর থেকে মানুষ লেখার সরজ্ঞাম হিসেবে ব্যবহার করত গাছের বাকল, পশুর চামড়া, শিলা ও মাটির ফলক।

মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান ধরা থাকত এইসব উপকরণে। সমাজের বৃহত্তর মানুষের মধ্যে চিন্তাশীল মানুষদের ভাবনা – চিন্তা বড় একটা পৌঁছবার সুযোগ পেত না।

সেই কারণে শিল্প ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার ব্যাপ্তি ছিল গণ্ডীবদ্ধ। দেশের ও সমাজের শ্রেষ্ঠ মানুষদের চিন্তার ফসল ব্যাপকভাবে জনসাধারণের মধ্যে প্রচার ও প্রসারের সুযোগ এসেছিল অনেক পরে।

এই যুগান্তকারী কাজটি করেছিলেন জার্মানীর এক প্রসিদ্ধ শিল্পী কারিগর গুটেনবার্গ। মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কার করে তিনি বিজ্ঞানের জগতে তথা মানব সভ্যতার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।

জোহানেস গুটেনবার্গ এর জন্ম: Johannes Gutenberg’s Birthday

গুটেনবার্গের পিতা ছিলেন একজন মণিকার। পিতার সঙ্গেই তাঁর মণিকারের জীবন শুরু হয়েছিল, লেখাপড়ার বিশেষ একটা সুযোগ পাননি।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ শিল্পী হিসেবে খ্যাতিমান হলেন। একজন সৎ ব্যবসায়ী হিসেবেও তিনি হয়ে উঠেছিলেন সকলের শ্রদ্ধা ও ভালবাসার পাত্র।

ফলে দেশের বিত্তবান ব্যক্তিরা গুটেনবার্গকে দিয়েই তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করাতে ভালবাসতেন। এই সূত্রে তার দোকানে সকলকেই যাওয়া আসা করতে হত।

শিল্পী গুটেনবার্গের বেদম নেশা ছিল তাস খেলার। সবসময় খেলার জুড়ি পাওয়া যেত না বলে, প্রায়ই তিনি স্ত্রী এনাকে সঙ্গে করে খেলায় বসে যেতেন।

সেকালে কিন্তু এখনকার মত এমন ছিমছাম সুন্দর তাস পাওয়া যেত না। শিল্পীরা মোটা কাগজ কেটে তার ওপর ছবি এঁকে তাস তৈরি করতেন। বাজারে সেই সব তাসেরই প্রচলন ছিল।

একদিন গুটেনবার্গের মাথায় চিন্তা ঢুকল, তাসকে তো আরও সুন্দর করা যায়। এরপর থেকেই কি করে সুন্দর ছবি এঁকে এই সখের জিনিসটাকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হল।

একদিন তাসের ছবি আঁকতে বসে কিছুক্ষণ কাজ করার পরে খেয়াল হল, তাই তো, সময় অনেক ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। এত কষ্ট না করে সহজ কোন উপায়ে কাজটা করতে পারলে অনেক সুবিধে।

অনেক চিন্তার পর কাঠের টুকরো খোদাই করে ছবি আঁকলেন। এরপর তার গায়ে কালি মাখিয়ে কাগজের ওপর ছাপ দিলেন। কাগজের ছবি দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলেন।

বাজারের সেরা তাস হাতে এসে গেল ৷ এক বাণ্ডিল এমন ছবিওলা তাস পেলে কেউ আর অন্য তাসে হাত ছোঁয়াবে না।

সবকটি তাসের জন্য আলাদা আলাদা কাঠের ব্লক তৈরি করে ফেললেন ঊটেনবার্গ। তারপর নতুন জাতের তাসের বান্ডিল বন্ধুদের কাছে উপহার পাঠিয়ে দিলেন।

শিল্পী পরিবারে জন্ম। জন্মগত ভাবে লাভ করেছেন শিল্পের প্রতিভা। অতৃপ্তিই শিল্পীজীবনের উপজীব্য। তাই কেবল তাস নিয়েই সন্তুষ্ট হতে পারলেন না গুটেনবার্গ।

জোহানেস গুটেনবার্গ এর কর্ম জীবন: Johannes Gutenberg’s Work Life

কাঠের ব্লকের সন্ধান যখন পাওয়া গেল, তখন আরও ভাল কাজে তাকে কি করে লাগানো যায় সেই চিন্তা করতে করতে কিছু মহাপুরুষের ছবির ব্লক তৈরি করে ফেললেন।

তারপর আরও একটা কাজ করলেন। ছবির নিচে ধারাল অস্ত্র দিয়ে মহাপুরুষের সংক্ষিপ্ত জীবনী খোদাই করে দিলেন। সেই লেখা-যুক্ত ছবি কাগজে ছাপিয়ে এক অভিনব জিনিস দাঁড়িয়ে গেল।

এবারে বেশ কয়েকজন মনীষীর বড় আকারের ছবি নিজের দোকানে ঝুলিয়ে দিলেন।

সেই যুগে এমন একটা ব্যাপার পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ভাবনা পৌঁছাতে পারেনি তখনো ৷ ফলে ছবিগুলো দেখে সকলেই গুটেনবার্গের কৃতিত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠল।

আরও পড়ুন: উইলিয়াম হার্ভে জীবনী

অবস্থাপন্ন অনেক লোক ভাল দাম দিয়ে ছবি কিনে নিয়ে যেতে লাগল। চাহিদাও বাড়তে লাগল দিন দিন।

ব্লক তৈরিই আছে। কাজেই সাদা কাগজে ছাপ তুলে ছবি সরবরাহ করতে তার বেশি সময় লাগত না।

ব্লক তৈরি করবার যে পরিশ্রমটুকু তা আগেই মিটে যেত। ভাল এবং সঠিক ছবির জন্য গোড়া থেকেই দুটো ব্লক তৈরি করতে হত।

গুটেনবার্গ প্রথমে একটা কাঠের ফলকে ছবি এবং লেখা এঁকে নিতেন। তারপর প্রয়োজনীয় অংশ রেখে বাকি কাঠ কেটে বাদ দিয়ে দিতেন। তৈরি হত সোজা ব্লক। এর ছাপ হত উল্টো।

কাঠের ফলকে সেই উল্টো ছাপ ফেলে কেটে নিলেই সোজা ব্লক তৈরি হয়ে যেতো। দ্বিতীয় বারের আসল ব্লকটাই সংরক্ষণ করতে হত। গুটেনবার্গের নতুন উদ্ভাবিত ছবির ব্যবসা দেখতে দেখতে বেশ জমে উঠল। শিল্পী হিসেবে খ্যাতিও বৃদ্ধি পেল অনেক।

একদিন দোকানে এলেন এক পাদ্রীসাহেব। ছবি দেখে বিস্মিত হলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটা ছবি কিনে নিয়ে গেলেন। গুটেনবার্গের ছবি দেখে দেখে পাদ্রী সাহেবের মাথায় নতুন চিন্তা এসে গেল।

তিনি ঠিক করলেন মহাপুরুষদের জীবনকাহিনী একটু বিস্তৃতভাবে লিখে ছবি সহ্ ছাপিয়ে জনসাধারণের মধ্যে বিলি করবেন। এতে দেশের মানুষ উপকৃত হবে। সমাজের চিন্তা উন্নত হবে।

পাদ্রী সাহেব কয়েকজন মহাপুরুষের জীবনী লিখে নিয়ে এরপর একদিন হাজির হলেন গুটেনবার্গের দোকানে।

বললেন, এগুলো তাঁকে ছাপিয়ে দিতে হবে। ছবি না পাওয়া গেলেও হবে। খরচ যা লাগবে তা তিনি বহন করবেন।

গুটেনবার্গ দায়িত্ব নিলেন, তবে খুবই চিন্তায় পড়ে গেলেন কাজটা নিয়ে। চিন্তাভাবনা করে তিনি প্রথমে অক্ষরের উল্টো প্রতিলিপি আঁকা রপ্ত করে নিলেন।

এরপরে কাজটা আর কঠিন থাকল না। কাঠের ফলকের ওপর একটার পর একটা অক্ষর খোদাই করে পর পর চৌষট্টিখানা ব্লক তৈরি করে ফেললেন।

এজন্য তাকে কয়েক সপ্তাহ ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হল। পাদরী সাহেব যেদিন এলেন তিনি হাতে পেয়ে গেলেন চৌষট্টি পৃষ্ঠার মহাপুরুষদের একখানা জীবনীগ্রন্থ। এটিই পৃথিবীর প্রথম ছাপা বই।

ইতিহাসবিদদের অভিমত হল, চীনদেশেই ৮৬৮ খ্রিঃ প্রথম অক্ষর ছাপার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মুদ্রণ যন্ত্রের প্রথম আবিষ্কর্তার বিষয়ে নিশ্চিতভাবে ইতিহাস কিছু বলতে পারে না।

তবে যিনিই সেই পদ্ধতি উদ্ধাবন করে থাকুন ততদিনে তা লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীকালের গুটেনবার্গের কাজের সঙ্গে তার কোন যোগ ছিল না।

এই কারণে প্রথম মুদ্রণযন্ত্রের আবিষ্কর্তার সম্মান গুটেনবার্গকেই দেওয়া হয়ে থাকে। নিজের কাজের সাফল্যই গুটেনবার্গের উৎসাহ বৃদ্ধি করল।

তিনি এবারে স্থির করলেন, একটা বাইবেল ছাপবেন। স্ত্রীকে মনের কথা জানালেন। কাজের জন্য কয়েকজন সহযোগীও জোগাড় হয়ে গেল।

কিন্তু কাজ শুরু করার মুখেই দুর্ভাগ্যক্রমে বাধা পড়ল। গোটাকয়েক পৃষ্ঠার ব্লক তৈরি হয়েছিল। একদিন সেগুলো পরীক্ষা করবার সময় হাত ফস্কে পড়ে গেল৷

পাতলা কাঠের ফলক সঙ্গে সঙ্গে ফেটে চিড় ধরে অকেজো হয়ে গেল। একটা নতুন কাজে এভাবে গোড়াতেই বাধা পড়াতে খুবই দুঃখ পেলেন গুটেনবার্গ। কিন্তু হতাশ হলেন না।

আবার কিছুদিন ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করতে হবে এই যা। এই দুর্ঘটনার থেকে একটা অভিজ্ঞতাও লাভ হল গুটেনবার্গের।

ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেও যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে না হয়- তেমন একটা উপায় বার করার জন্য চিন্তা মাথায় ঢুকল তাঁর। কিছুদিনের মধ্যেই পথ বার করে ফেললেন। এবারে তিনি আর কাঠের ওপরে অক্ষর খোদাই করলেন না। একটা একটা করে ছোট আকারের কাঠের অক্ষর তৈরি করলেন।

আরও পড়ুন: গ্যালিলিও গ্যালিলি জীবনী

প্রয়োজনীয় অক্ষর তৈরি হয়ে গেলে সেগুলোকে কাঠের ফলকে লেখার মত করে সাজিয়ে ফেললেন। তারপর গোটা জিনিসটাকে শক্ত সুতো দিয়ে বেড় দিয়ে বেঁধে ফেললেন যাতে অক্ষরগুলো নড়েচড়ে না যায়।

এবারে সমস্ত অক্ষরের গায়ে কালি লাগিয়ে কাগজে ছাপ তুলে নিলেন। পদ্ধতিটা গুটেনবার্গের কাছে খুবই নিরাপদ আর সুবিধাজনক বলে মনে হল।

তিনি পরের কাজগুলো এভাবেই করবার সিদ্ধান্ত নিলেন। কাঠ কেটে যে অক্ষর তৈরি করা হয়েছিল গুটেনবার্গ সেগুলোর নাম দিলেন টাইপ বা বিচল অক্ষর।

এই পদ্ধতিতে কিছুদিন কাজ করার পর তিনি লক্ষ্য করলেন, বারবার একই টাইপ নিয়ে কাজ করার ফলে সেগুলো খানিকটা ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। ফলে লেখার ছাপ অস্পষ্ট হচ্ছে।

এই অসুবিধা দূর করবার জন্য পরে গুটেনবার্গ কাঠের টাইপ বর্জন করলেন। তৈরি করে নিলেন দীর্ঘস্থায়ী ধাতুর টাইপ।

এই টাইপে ছাপিয়ে ১৪৫৬ খ্রিঃ তিনি প্রথম বাইবেল ছেপে প্রকাশ করেন। এই কাজে তার প্রধান সহায়ক ছিলেন ফাস্ট ও শোত্রক নামের দুজন শিল্পী কারিগর। গুটেনবার্গ স্ট্রাসবুর্গে প্রথম ছাপার কাজ শুরু করেছিলেন।

পরে ১৪৪ মেনজে তার প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেন। তখন থেকেই তাঁর বিখ্যাত Mazarine Bible মুদ্রিত হয়েছিল। গুটেনবার্গের বাইবেলটি বিশালাকারে লার্টিনে ছাপা হয়, মোট পাতার সংখ্যা ১২৮২।

পুরো বই কালো কালিতে ছাপা, কেবল পরিচ্ছদগুলোর হেডিং আর প্রথম প্যারার এবং অনেক পাতার প্যারার আদ্যক্ষর লালে ছাপা। প্রত্যেক পাতার পাঠ্যাংশ দুকলমে ৪২ লাইনে ছাপা। এই জন্য গুটেনবার্গের বাইবেল 42 line Bible বলেও বিখ্যাত। ছাপা হয়েছিল ২০০ কপি।

আবিষ্কারক বা উদ্ভাবকদের কাজের ফলটিই কেবল মহাকাল তার সময়ের ফলকে খোদাই করে রাখে। তাঁদের জীবনব্যাপী কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য, নিষ্ঠা ও ত্যাগের স্বেদ ও অশ্রুর দীর্ঘ ইতিহাস কালস্রোতে হারিয়ে যায়।

শিল্পী গুটেনবার্গ তাঁর শিল্পের উন্নতির চিন্তা আর কাজকেই জীবনে প্রাধান্য দিয়েছিলেন জীবনভোর।

আরও পড়ুন: রেনে দেকার্ত জীবনী

তাই মুদ্রণশিল্পের উন্নতিতে আত্মনিয়োগ করে তাঁকে কঠোর দারিদ্র্যকে বরণ করে নিতে হয়েছিল। অথচ ব্যবসায়বুদ্ধি প্রয়োগ করলে নিজস্ব পদ্ধতিতে বাইবেল ও অন্যান্য পুস্তক ছেপে সেই যুগেই প্রচুর অর্থ ও বিত্তের অধিকারী হতে পারতেন। তা না করে নিজের যা কিছুসম্বল ছিল তা- ও অকাতরে ব্যয় করেছেন অকুণ্ঠিত চিত্তে। চরম দরিদ্র অবস্থার মধ্যেই শেষ বয়সে তার সকল কাজের নির্ভরযোগ্য সহযোগী এবং একমাত্র উৎসাহদাত্রী স্ত্রী ওনাকে হারিয়েছিলেন।

এই বিয়োগব্যথা তার সমস্ত কর্মক্ষমতাকে বিকল করে দিয়েছিল। শেষ দিকে একরকম অনাহারেই দিন কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। মেঞ্জের পাদরী সাহেবের অনুগ্রহে সেই সময় তার জন্য সামান্য ভাতার ব্যবস্থা হয়েছিল।

সেই ভাতার অর্থেই অবশিষ্ট জীবনটা কাটিয়েছিলেন কায়ক্লেশে। গুটেনবার্গের পর জার্মানি থেকেই মুদ্রণ শিল্প রোম, ভেনিস ও অবশিষ্ট ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছিল।

আরও পড়ুন: জোহানেস গুটেনবার্গ উইকিপিডিয়া

ইংলন্ডে সর্বপ্রথম মুদ্রণযন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন ক্যাকস্টন ১৪৭৬ খ্রিঃ। পরবর্তী বছরেই ওয়েস্টমিনিস্টার থেকে তিনি মুদ্রিত করেন The Dictes and Sayings of the Philosophers ।

পনের বছরের মধ্যে তিনি প্রায় শতাধিক গ্রন্থ মুদ্রিত করেছিলেন।

পরবর্তীকালে মুদ্রণযন্ত্রের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। সমস্ত উন্নতিব মূলেই ছিল গুটেনবার্গের সেই কাঠের টাইপ।

জোহানেস গুটেনবার্গ এর মৃত্যু: Johannes Gutenberg’s Death

1468 খ্রিঃ 3 ফেব্রুয়ারি জোহানেস গুটেনবার্গ এর জীবনাবসান হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here