পাতলা পায়খানা হলে ঘরোয়া উপায়ে কি করা উচিত

পাতলা পায়খানা হলে ঘরোয়া উপায়ে কি করা উচিত
পাতলা পায়খানা হলে ঘরোয়া উপায়ে কি করা উচিত

আজকের এই পোস্টে পাতলা পাতলা পায়খানা হলে ঘরোয়া উপায়ে কি করা উচিত? এবং পাতলা পায়খানা হলে কি খাবার খেতে হয়, কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় সে বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হলো। চলুন এবার দেখে নেওয়া যাক।

পাতলা পায়খানার ঘরোয়া উপায়

1. ১০০ গ্রাম চাল বা ৪ পিস পাউরুটি অথবা ২টি হাতে করা রুটির যে কোনও একটি, প্রথমে কড়াই-এ ভালো করে ভেজে এবং শেষে ২ চামচ জিরে দিয়ে কালো করে ভেজে নিতে হবে। পরে দুটিকে মিহি করে গুঁড়ো করতে হবে। এই গুঁড়ো ২ চামচ মাত্র, জলের সাথে বেশ কয়েকবার খেতে হবে। অর্থাৎ পায়খানা বন্ধ না হওয়া অবধি এই গুঁড়ো খেতে হবে।

2. কাঁচা কচি বেলকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ছায়াতে শুকিয়ে নিতে হবে। একে বেল ওঁঠ বলে। এই বেল শুঁঠ ভালভাবে মিহি করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। বয়স অনুযায়ী এটি খেতে হবে। অর্থাৎ ১ মাস থেকে ১ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের জন্য ১২৫ মিলিগ্রাম থেকে ১.৫ গ্রাম, ৫ থেকে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত ৬ গ্রাম থেকে ১৬ গ্রাম অবধি এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ১৬ গ্রাম শুঁঠ নিয়ে সারাদিনে দুবার ভাগ করে খাওয়াতে হবে।

3. জিরে ভাজা ও শিমুলের নির্যাস বা আঠা (মোচরস) সমান পরিমাণ নিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে। পরে এই গুঁড়ো ওষুধটি ১ মাস থেকে ১ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চাদের ১২৫ মি: গ্রাম থেকে ১.৫ গ্রাম, ৫ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত ৬ গ্রাম থেকে

4. ১৬ গ্রাম ও প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ১৬ গ্রাম পরিমাণ মত নিয়ে সারাদিনে ২ বার ভাগ করে খাওয়াতে হবে।

5. কাঁটা নটের মূল ৪ টে, (৪ ইঞ্চি লম্বা) ৪ থেকে ৫টা গোলমরীচের সাথে বেটে অল্প জিরে ভেজানো জল দিয়ে দিনে দুবার পর পর সাত দিন খালিপেটে খেতে হবে।

6. ডালিমের খোসার গুঁড়ো ১ থেকে ৩ গ্রাম মাত্রায় মধুসহ দিনে দুবার পরপর সাতদিন খেতে হবে।

7. কুড়চি গাছের ছাল, জাম গাছের ছাল, পেয়ারা গাছের ছাল ও জিওল গাছের ছাল সমান পরিমাণ নিয়ে ভালভাবে শুকিয়ে আলাদা আলাদা মিহি করে গুঁড়ো করতে হবে। তারপর সমস্ত গুঁড়ো একসঙ্গে মিলিয়ে ১-২ চা চামচ সকালে ও ১-২ চা চামচ বিকালে জল দিয়ে খেতে হবে।

পাতলা পায়খানা হলে সতর্কতা-

চিকিৎসা চলাকালীন বাড়িতে লবণ চিনির জল তৈরি করে বারবার পান করতে হবে। লবণ জল তৈরির পদ্ধতি- ১ গ্লাস বা ২০০ মিলিমিটার জল ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে তাতে ১ চা চামচ চিনি এবং এক চিমটে লবণ (০.৭ গ্রাম) মিশিয়ে নিলে লবণ চিনির সরবৎ তৈরি হয়ে যাবে।

পাতলা পায়খানা হলে খাওয়া যাবে পথ্য:

যেমন কাঁচা কলা সেদ্ধ ও গাঁদাল পাতা, চিড়ে, খই এর মণ্ড, ডাবের জল, মুসুর ডালের জুস, ডুমুর ইত্যাদি খেতে হবে।

আরও পড়ুন-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here