Egg Jhuri Recipe – ডিমের ঝুরি রেসিপি – Anda Kari Recipe

Egg Jhuri Recipe - ডিমের ঝুরি রেসিপি - Anda Kari Recipe
Egg Jhuri Recipe - ডিমের ঝুরি রেসিপি - Anda Kari Recipe

Egg Jhuri Recipe – ডিমের ঝুরি রেসিপি হল একটি পপুলার স্ন্যাক্স, যা অসমের খাবার সম্পর্কে পরিচিত। এই স্ন্যাকসটি বিভিন্ন প্রকারের মসলা ও সসের সাথে পরিবেশন করা হয় এবং এটি স্বাদের দিক থেকে অনেক জনপ্রিয়। ডিমের ঝুরি সহজেই তৈরি করা যায় এবং স্বাদের দিক থেকে খুবই মজাদার। এটি একটি সহজ স্ন্যাক্স যা দক্ষিণ এশিয়ান রান্নার অন্যতম প্রতিনিধিমূলক হিসাবে পরিচিত।

ডিমের ঝুরি রেসিপি (Egg jhuri recipe) বানানোর উপকরণ গুলি কি

  • পিয়াজ কুচি আন্দাজ মতো,
  • রসুন – ১কোয়া কুচি,
  • হলুদ পরিমাণ মতো,
  • নুন আন্দাজ মতো,
  • আদা কুচি পরিমাণ মতো,
  • ধনেপাতা কুচি অল্প
  • সরষে তেল,
  • সামান্য ময়দা,
  • কাঁচা লঙ্কা কুচি,
  • ডিম একটি।
আমি শুধু একটা ডিমের (egg) জন‍্য জিনিস গুলোর কথা উল্লেখ করেছি।

ডিমের ঝুরি রেসিপি বানানোর পদ্ধতি

1. প্রথমে একটি ডিমের (egg) সরু দিকটা খুব আলতো হাতে গোল করে ভেঙে নিতে হবে যাতে ঝুড়ি গুলো ডিমের খোলসার ভিতরে পুড়ানো যায়।

2. ধোয়া ডিমটা (egg) ভেঙে শাখাকুসুম সহ বাটিতে রাখতে হবে । তারপর পিয়াজ কুচি, রসুন কুচি, হলুদ নুন,আদাকূচি, ধনেপাতা কুচি শাখা কুসুম রাখা বাটিতে ঢেলে দিন যেভাবে ডিম ওমলেট বানানো হয়।
সেই ভাবেই মিকচার করে নিতে হবে।

3. এরপর এটাকে পেটিয়ে কড়াইয়ে সামান্য তেল গরম করে ডিম মিকচারটি গরম তেলে ছেড়ে দিয়ে খুন্তি দিয়ে ঘাটিয়ে ভেজে নিন আন্দাজ মত।

ঝুরি ডিম সেদ্ধর মূল পর্ব

এবার বাটিতে নামিয়ে রাখুন।এখন এই ভাজা ঝুড়িগুলো ঠাসিয়ে খোলসার (খোলা) ভেতর পুড়ে দিয়ে খোলা মাথাটায় ময়দার ঢেলা দিয়ে মুখটা বন্ধ করে দিতে হবে। কড়াইয়ে পরিমাণ মত জল গরম করে মুখ বন্ধ ডিমটাকে ছেড়ে ঢেকে দিন।

আরও পড়ুন- ডিম দিয়ে পটল রেসিপি

গরম জলে ছাড়ার কারণ

গরম জলে না ছাড়লে ময়দার পুলটিসটি খুলে যাবে। পাঁচ মিনিটের মত সেদ্ধ করার পর নামিয়ে ঠাণ্ডা জলে ডুবিয়ে রাখুন। ঠাণ্ডা হলে খোসাটি ছাড়িয়ে দিন দেখবেন ওটা আবার আস্ত ডিমের মতই সাইজ হয়ে গেছে।

এখন আর কি করণীয়

এরপর আদা,পেয়াজ,এক কোয়া রসুন একসাথে বাটনা বাটায় পিষে আপনাদের পছন্দ মত কাঁচালঙ্কা অথবা শুকনো লঙ্কা বাটা পিয়াজ সম্বাসে ভেজে সামান্য ঝোল দিয়ে ঝোলাটা গরম করে ঝুড়ি ডিমটি ছেড়ে দিন।

সব শেষে যা করতে হবে

ধনে পাতা কুচি, পিয়াজ কুচি, পিয়াজ পাতা কুচি ছেড়ে নেড়ে চেড়ে নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

উপসংহার– Egg jhuri recipe অসমের জনপ্রিয় রান্নার মধ্যে অন‍্যতম। এই রেসিপি বানাতে খুব একটা উপকরণও সেই ভাবে প্রয়োজন হয় না তেমন।

নিজস্ব মতামত– এই রেসিপি টির সঙ্গে মাছ, মাংসের সঙ্গে তুলনা করলে যে কেউ ঝুরি ডিম সেদ্ধকেই পছন্দ করবে খেতে। এতেও খুবই কম তেল ব‍্যবহার করা হয়েছে।

ডিমের উপকারিতা

1. অনেকেই প্রতিদিন ডিম খেতে ভয় পান পাছে ওজন বেড়ে যায় যদিও বা প্রতি দিন ডিম খান তাও আবার কুসুম না খেয়ে সাদা অংশ টা খান এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো যে, নিয়ম করে প্রতি দিন ডিম খেলে কখনই ওজন বাড়ে না।

আরও পড়ুন- কেরালা চিকেন রেসিপি

2. বেশিরভাগ শিশু এবং নারীরা রক্তল্পতায় ভোগে এর কারণ যথাযথ পুষ্টিগুণের অভাবেই এই সমস্যার শিকার হয়ে থাকে আর এই সমস্ত সমস্যা দূরে রাখার জন্য নিয়মিত ডিম খাওয়া খুবই দরকার।

3. ডিমে থাকা জিংক ইমোয়নিটি সিস্টেম কে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তোলে তাই সর্দি-কাশি হাওয়া থেকেও দূরে রাখে আর যারা প্রায় সময় সর্দি-কাশিতে ভোগেন তারা অবশ্যই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া শুরু করুন বা করতে পারেন।

4. নখ ভেঙে যাচ্ছে , নখের সাদা ভাব কমে যাচ্ছে তাহলে আজকে থেকেই শুরু করুন ডিম খাওয়া কারণ ডিমে সালফার থাকার জন্য এইসব সমস্যাকে দূর করে।

5. অনেককেই বলতে শোনা যায় ডিম খেলে নাকি কোলেস্টরেল হয়, এটা কিন্তু একদম ভুল ধারণা বরং নিয়মিত ডিম খেলে কোলেস্টরেলের মাত্রা অনেক কম করে।

6. লিপিড প্রোফাইল নিয়ন্তনে রাখতে যেমন সাহায্য করে ঠিক তেমনই লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই ডিম খাওয়া আজ থেকে শুরু হোক।

পেঁয়াজের উপকারিতা

1. পেঁয়াজের উপকারিতার কথা বলতে গেলে সবার প্রথমে যে কথাটা মনে আসে চুল ঝরা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পিঁয়াজের রস সকলেই কম বেশি লাগিয়ে থাকি স্কাল্পে। চুল লম্বা হতে সাহায্য করে পেঁয়াজের রস।

2. পেঁয়াজ গরম তাই যাদের ঠান্ডার ধাত রয়েছে নিয়মিত পেঁয়াজ খেতে পারেন।

3. কাঁচা পেঁয়াজ অনেক বেশি উপকারী তাই স‍্যালাড হিসাবেও খাবারের পাতে রাখা যেতে পারে তবে যারা কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারেন না বা খাওয়া বারণ আছে ঔষধ খাওয়া দরুণ তারা কাঁচা না খেয়ে,সেদ্ধ করে কিংবা হাল্কা ভেজেও খেতে পারেন।

4. বাতের ব‍্যাথা দূর করতে পেঁয়াজের রস এবং সরিষার তেল একত্রে নিয়ে তা মিশিয়ে মালিশ করলে ব‍্যাথার উপসম হয়।

আরও পড়ুন- বেগুনের ঝাল রেসিপি

5. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেঁয়াজের ভূমিকা যথেষ্ট রয়েছে।

আদা খাওয়ার উপকারিতা

1. আদা রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি কাঁচা আদাও খেয়ে থাকি। আদা ঔষধি গুণাগুণ অপরিসীম। ঠান্ডা লাগলে সর্বপ্রথম যা খেয়ে থাকি আদা থেঁতো করে লিকার চা করে পান করে থাকি।

2. গলা খুস খুস করলে বা খুসখুসে কাশি হ’লে কাঁচা আদার সঙ্গে অল্প লবণ খেতে খুসখুসে ভাব অনেকটাই কমে যাবে।

3. অনেকেরই গাড়িতে উঠলে বমি বমি ভাব আসে তারা এক টুকরো কাঁচা আদা মুখে রাখলে বমি বমি কমে যাবে।

4. বাতে ব‍্যথা দূর করতে কাঁচা আদা নিয়মিত খেতে পারেন।

ডিমের ঝুরি রেসিপি FAQ

1. হার্ড সেদ্ধ ডিম করতে কত সময় লাগে?

গ‍্যাসের মিডিয়াম আঁচে রাখলে ৭ – ৮ মিনিট।

2. হাফ সেদ্ধ ডিম করতে কত সময় লাগে?

প্রথম এক মিনিট মতো মিডিয়াম আঁচে রেখে পরে লো আঁচে চার মিনিট মতো এবং কিছুটা গরম জল ফেলে ঠান্ডা জল দিয়ে রাখতে হবে মিনিট তিন চার।

3. ডিম জল পোজ কিভাবে করতে হবে?

জল ফুটে উঠলে তাতে ডিম ফাটিয়ে দিয়ে দিতে হবে ১ – ১.৩০ মিনিট সময় লাগবে পোজ হতে।

4. প্রতিদিন ডিম খাওয়া কি ভালো?

হ্যাঁ অবশ্যই ভালো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here