বিভিন্ন ধৌতি ক্রিয়া: যোগ (Yoga) হল প্রাচীন ভারতে উদ্ভূত এক বিশেষ ধরনের শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন প্রথা। শরীর, মন সুস্থ ও সবল রাখতে এবং রোগ মুক্তিতে যোগাসনের ভূমিকা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। এই প্রথা সারা বিশ্বে আজও প্রচলিত আছে। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বিভিন্ন ধৌতি ক্রিয়া। বিভিন্ন ধৌতি ক্রিয়া নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল। যেমন- সহজ অগ্নিসার ধৌতি, বমন ধৌতি।
বিভিন্ন ধৌতি ক্রিয়া
সহজ অগ্নিসার ধৌতি
সহজ অগ্নিসার ধৌতি করার পদ্ধতি
প্রথম মেরুদণ্ড সোজা রেখে (ছবির মতো)
সুখাসনে বসুন। এবার দম স্বাভাবিক রেখে দুহাতের বুড়ো আঙুল যেখানে শরীরের দুপাশের পাঁজরের হাড় শেষ হয়ে গেছে সেখানে রাখুন। হাতের বাকি আঙুল এ রেখে দুহাত দিয়ে পেট চেপে ধরে নাভির এক আঙুল পরিমাণ নিচে চেপে ধরুন। ঝট করে ছেড়ে দিন।
বুড়ো আঙুল যেখানে রেখেছেন সেখান থেকে সরাবেন না। শুধু দুহাতের বাকি আঙুলগুলো একত্র রেখে চেপে ধরুন। ঝট করে ছাড়ুন। এভাবে ৩০ থেকে ৪০ বার চেপে ধরুন। চাপ দেয়ার সাথে সাথে ছাড়ুন। চাপ দিয়ে ধরে রাখবেন না।
সহজ অগ্নিসার ধৌতি করার উপকারিতা
1. যারা বহুদিন ধরে আমাশয়ে ভুগছেন তাদের জন্যে বিশেষ উপকারী ব্যায়াম।
বি.দ্র. : আমাশয় হলে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি খেয়াল রাখুন। অতিরিক্ত তেল-ঝাল-মসলা পরিহার করুন। বাইরের খোলা খাবার খাবেন না; খাওয়ার আগে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
আরও পড়ুন-
বমন ধৌতি
বমন ধৌতি করার পদ্ধতি:
ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে এক থেকে দুই লিটার পরিমাণ পানি পান করুন। তারপর মুখ হা করে ডান হাতের মধ্যমা আঙুল দিয়ে আল-জিহ্বার কাছে নাড়া দিলেই বমির উদ্রেক হবে। যে পানি পান করেছেন তা বেরিয়ে আসবে। এভাবে পানি পান করে গলায় আঙুল দিয়ে ইচ্ছাকৃত বমির মাধ্যমে ধৌত করাকে বমন ধৌতি বলে। এতে পাকস্থলীর ভেতর বাড়তি এসিড পিত্ত বেরিয়ে আসে।
স্বাভাবিক বমি হওয়ার ফলে মানুষ যেমন দুর্বল হয়ে যায় এতে তা হয় না। বমন ধৌতি মাসে দুই/একবার করাই ভালো -এর বেশি নয়। ধৌতি করার পর এক গ্লাস পানি পান করে পাঁচ মিনিট সহজ শিথিলায়ন বা শবাসন করবেন। তারপর নাশতা খাবেন। শীতের সময় কুসুম গরম পানি পান করে বমন ধৌতি করতে পারেন।
বমন ধৌতি করার উপকারিতা
1 . যাদের পিত্তদোষ বা এসিডিটির দোষ রয়েছে তারা বিশেষ উপকৃত হবেন।
2 . পাকস্থলীতে কোনো দূষিত পদার্থ জমতে পারে না।
3 . যাদের ঢেকুর ওঠে বা মুখ তিতা বা টক লাগে তাদের জন্যে এ প্রক্রিয়াটি বিশেষ উপকারী।