ত্রিকোণাসন করার পদ্ধতি উপকারিতা: যোগ (Yoga) হল প্রাচীন ভারতে উদ্ভূত এক বিশেষ ধরনের শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন প্রথা। শরীর, মন সুস্থ ও সবল রাখতে এবং রোগ মুক্তিতে যোগাসনের ভূমিকা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। এই প্রথা সারা বিশ্বে আজও প্রচলিত আছে। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ত্রিকোণাসন করার পদ্ধতি উপকারিতা। ত্রিকোণাসন করার পদ্ধতি উপকারিতা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।
ত্রিকোণাসন (Triangulation) করার পদ্ধতি উপকারিতা
ত্রিকোণাসন করার পদ্ধতি
প্রথমে শরীর সোজা রেখে দাঁড়ান। এবার দুই পা আড়াই থেকে তিন ফুট পরিমাণ ফাঁক করুন। এরপর হাত দুটো শরীরের দুপাশে কাঁধ বরাবর উঁচু করুন। হাতের তালু নিম্নমুখী করে রাখুন। (১ নং ছবির মতো)
এবার পা থেকে কোমর পর্যন্ত শরীর সোজা রেখে সামনে/ পেছনে না ঝুঁকে আস্তে আস্তে ডান দিকে বাঁকা করুন। খেয়াল রাখুন যেন হাঁটু না ভাঙে। এবার আস্তে আস্তে ডান দিকে বাঁকিয়ে ডান পায়ের পাতা স্পর্শ করতে চেষ্টা করুন। সহজভাবে যতটুকু হাত যায় ততটুকুই রাখুন। কিছুদিন অভ্যাস করলে আসনটি সঠিক ভঙ্গিমায় করতে পারবেন। এভাবে প্রথমে ডানদিকে, পরে বামদিকে করুন। একবার ডানে আর একবার বামে মিলে হয় এক প্রস্থ। এভাবে তিন থেকে পাঁচ প্রস্থ করতে পারেন।
আরও পড়ুন- হস্তপদাসন করার পদ্ধতি উপকারিতা
প্রত্যেক পাশে অবস্থানে সময় নিন ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড। দম স্বাভাবিক রাখুন। যেদিকে বাঁকাবেন সেদিকের হাত নিচে ও অপর হাত মাথার ওপরে তুলে রাখুন। দৃষ্টি থাকবে ওপরের হাতের আঙুলে। (২ নং ছবির মতো)
ত্রিকোণাসন করার উপকারিতা
1. এ আসনটি কোমরের চর্বি কমিয়ে কোমরকে সরু ও সুন্দর করে তোলে।
2. মেরুদণ্ডে আড়াআড়ি টান পড়ায় মেরুদণ্ড নমনীয় ও কমনীয় থাকে। মেরুদণ্ডে রক্ত চলাচল বাড়ায়, পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে।
3. পিঠের মাংসপেশিকে মজবুত রাখে। ফলে পিঠে ব্যথাবেদনা হতে পারে না।
4. সায়াটিকা রোগ প্রতিরোধ করে।
5. হাত পা বুক পিঠের গঠন সুন্দর করে।
6. কিডনিতে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
7. এছাড়াও এড্রিনাল গ্ল্যান্ডকে সুস্থ ও সক্রিয় রাখতে এ আসনটি নিয়মিত করা দরকার। কারণ, এড্রিনাল গ্ল্যান্ড কোনো কারণে অসুস্থ হলে রক্তচাপ কমে যেতে পারে, পরিপাক ক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটতে পারে। ক্ষুধা কমে যেতে পারে, অলসতা আসতে পারে। তাই আসনটি প্রতিদিনই করা দরকার।