জানুশিরাসন করার পদ্ধতি উপকারিতা: যোগা (Yoga) হল প্রাচীন ভারতে উদ্ভূত এক বিশেষ ধরনের শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলন প্রথা। শরীর, মন সুস্থ ও সবল রাখতে এবং রোগ মুক্তিতে যোগাসনের ভূমিকা আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। এই প্রথা সারা বিশ্বে আজও প্রচলিত আছে। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি জানুশিরাসন করার পদ্ধতি উপকারিতা। জানুশিরাসন করার পদ্ধতি উপকারিতা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল।
জানুশিরাসন করার পদ্ধতি উপকারিতা
জানুশিরাসন করার পদ্ধতি:
প্রথমে পা সামনে সোজা করে মেরুদণ্ড সোজা রেখে মাটিতে বসুন । পা দুটো যেন সামনের দিকে ছড়িয়ে থাকে । এবার প্রথমে ডান পায়ের হাঁটু ভেঙে ডান পায়ের পাতা বাম ঊরুর শেষ প্রান্তে এনে লাগিয়ে রাখুন । দেখতে যেন সমকোণের মতো লাগে (১ নং ছবির মতো) ।
অর্থাৎ বাম পা সোজা রেখে ডান পা ভেঙে এনে রাখতে হবে নব্বই ডিগ্রি এঙ্গেলে । দম এরপর স্বাভাবিক রেখে মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে বাম হাঁটুর ওপর কপাল ঠেকাতে চেষ্টা করুন (৪ নং ছবির মতো) ।
হাত দুটো দিয়ে বাম পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন । হাঁটু যেন না ভাঙে । যতদিন না সঠিক ভঙ্গিমায় আনতে পারছেন ততদিন যতটুকু পারবেন ততটুকু ঝুঁকবেন । (২ ও ৩ নং ছবির মতো)
জোর করে কপাল হাঁটুতে ঠেকাতে যাবেন না । এভাবে প্রথমে ডানে ও পরে একইভাবে বাম পায়ে করুন । প্রত্যেক বারই সঠিক ভঙ্গিমায় গিয়ে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড অবস্থান করুন । ডানে-বামে মিলে এক প্রস্থ । এভাবে তিন থেকে পাঁচ প্রস্থ করুন ।
এ আসনে কপাল ও হাঁটু একত্রে মিশে থাকে বলে একে জানুশিরাসন বলে । জানু অর্থ হাঁটু, শির অর্থ মাথা ।
আরও পড়ুন- শশাঙ্গাসন করার পদ্ধতি উপকারিতা
জানুশিরাসন করার উপকারিতা
1. জানুশিরাসন অভ্যাসে অগ্ন্যাশয়ে চাপ পড়ায় অগ্ন্যাশয় সুস্থ ও সবল থাকে । এতে বহুমূত্র রোগ হতে পারে না । আর যারা এ রোগে ভুগছেন তারা এ আসনটি করলে বহুমূত্র রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন ।
2. পেটে চর্বি জমতে পারে না ।
বি.দ্র. : সামনে ঝোঁকা নিষেধ -এমন রোগ থাকলে এ আসন করবেন না ।