সৌন্দর্যচর্চার মৌলিক সত্য

সৌন্দর্যচর্চার মৌলিক সত্য
সৌন্দর্যচর্চার মৌলিক সত্য

সৌন্দর্যচর্চার মৌলিক সত্য: আজকের এই সভ্য় সমাজের মানুষকে সামাজিক ভাবে আকর্ষণীয় দেখায়। তার কারণ হলো সৌন্দর্যচর্চা বা রূপচর্চা। তাই আমরা এখানে সৌন্দর্যচর্চার মৌলিক সত্য সম্পর্কে জানাবো ।

সৌন্দর্যচর্চার মৌলিক সত্য

যুগে যুগে মানুষ নিজেকে সুন্দর রাখার, সৌন্দর্যকে ধরে রাখার চেষ্টা করেছে । এ জন্যে উদ্ভাবন করেছে নানা কৌশল । এ জন্যে সে কখনো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেছে । আবার কখনো ব্যবহার করেছে কৃত্রিম উপাদান । তবে কৃত্রিম উপাদানের চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদানই বেশি ভালো ।

কারণ এতে নেই কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, নেই কোনো বাড়তি খরচ । অনায়াসেই যা হাতের কাছে পাওয়া যায়, তা-ই আপনি আপনার রূপচর্চায় কাজে লাগাতে পারেন । প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম- যেকোনো উপাদান দিয়েই রূপচর্চা করেন না কেন, আগে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনার ত্বকের ধরন, চুল কোন ধরনের ইত্যাদি তথ্য । তবে পরিপূর্ণ রূপবতী কিংবা রূপবান বলতে কেবল শারীরিক সৌন্দর্যকেই বোঝায় না, এর সাথে থাকে বিশেষ কিছু গুণ ।

যেমন:

1. সুস্থ দেখানো

2. বয়সের তুলনায় কম বয়সী মনে হওয়া

3. ব্যক্তিত্ব এবং শিষ্টাচার

4. সাজপোশাক

5. মার্জিত ভাব

6. মানবিক গুণাবলি

7. শিক্ষা

এ সব মিলিয়ে একজন মানুষকে সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে বিচার করা হয় ।

পৃথিবীতে জন্মগতভাবেই যদি কেউ সৌন্দর্যের অধিকারিণী হয়ে থাকে, তবে সেটা তাদের জন্যে করুণাময়েরই বিশেষ দান । কিন্তু বাকি সব গুণাবলি মানুষকে অর্জন করতে হয় । আর জন্মগত সৌন্দর্যও চিরস্থায়ী নয়, তাকে বেশি দিন ধরে রাখার জন্যে প্রয়োজন পরিচর্যার । তাই আজ যে এ সচেতনতা হয়েছে তা নয় । অতীতেও এ সচেতনতা ছিলো । আগের দিনের নারীরা ঘরে বসেই রূপচর্চা করতো ।

কালের প্রবাহে এর প্রসার ঘটেছে । এখন ঘরের বাইরেও এ জন্যে রয়েছে বহু প্রতিষ্ঠান, যা বিউটি পার্লার নামে পরিচিত । এখন মেয়েরা পার্লারে গিয়ে রূপচর্চা করে । আর যারা জন্মগতভাবে সৌন্দর্যের অধিকারিণী নন, তারাও হতাশ হবেন না, তারাও অনায়াসে সৌন্দর্যচর্চার মাধ্যমে নিজেকে পরিণত করে তুলতে পারেন রূপসী রমণীতে ।

তবে একটা কথা বিশেষভাবে মনে রাখা প্রয়োজন যে, কোনো চর্চাই আলাদিনের চেরাগের মতো আপনাকে রাতারাতি বদলে দেবে না । এ জন্যে প্রয়োজন ধৈর্য । আর এটা ভাবাও ঠিক নয় যে, আপনি সারাজীবনই আপনার যৌবনকে ধরে রাখবেন, রূপকে ধরে রাখতে পারবেন ।

আরো পড়ুন- সৌন্দর্যচর্চার গোপন ইতিহাস

প্রকৃতির নিয়মেই ধাপে ধাপে বয়সের সাথে সাথে আপনাকে এগুতে হবে এক এক পর্যায়ের সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশে । তবে সৌন্দর্যচর্চা করলে আপনার বয়স যখন 40 তখন হয়ত আপনাকে দেখতে লাগবে 30 বছর বয়সী । এটাই বা কম কি । বয়সের তুলনায় 10 বছর কম লাগা সহজ ব্যাপার নয় ।

অনেকে গায়ের রং নিয়ে ভাবেন-ফর্সা না হলে বুঝি সুন্দরী হওয়া যায় না; এটা আসলে ভুল ধারণা । সুন্দরী মানে যদি শুধু ফর্সাকেই বোঝানো হতো তাহলে প্রতিযোগিতায় আফ্রিকার কালো মেয়েটি বিশ্বসুন্দরী হতে পারতো না । কাজেই সুন্দরী মানেই রং ফর্সা হতে হবে- এ কথাটি সত্য নয় । রং যা-ই হোক না কেন, পরিচর্যার মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠতে পারেন অপরূপ সুন্দরী ।

সর্বোপরি মনে রাখতে হবে সৌন্দর্যচর্চা মানে শুধু মুখমণ্ডলের চর্চা নয়, দেহের মাথা থেকে পা পর্যন্ত যত্ন নেয়া, পরিচর্যা করাই রূপচর্চার পূর্ণাঙ্গ রূপ ।

এর সঙ্গে রয়েছে ব্যায়াম, পরিমিত ও স্বাস্থ্যসম্মত আহার, সাজপোশাক, আপনার ব্যক্তিত্ব, শিষ্টাচার, মানবিক গুণাবলি, শিক্ষা, কথা বলার ভঙ্গি, হাঁটা চলা-বসার ভঙ্গি ইত্যাদি । এসব মিলিয়েই একজন মানুষকে সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে বিচার করা হয় ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here