বমি হওয়া যেমন কষ্টকর; ঠিক তেমনই ঘন ঘন বমি হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বমির ওষুধ খেলে দ্রত তা বন্ধ হয়। এ ছাড়াও ঘরোয়া উপায়েই বমি বন্ধ করা যায়। তাৎক্ষণিক বমি থেকে স্বস্তি পেতে ঘরোয়া কিছু উপায় অনুসরণ করতে পারেন-
বমি বমি ভাব এবং বমি কি?
বমি বমি ভাব এবং বমি হল খুবই সাধারণ লক্ষণ যা মূলত নাড়িভুঁড়ির রোগের সাথে সম্পর্কিত, কিছু অবস্থা খুবই যন্ত্রণাদায়ক এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপতিক্রিয়ার ফলে হয়। অনেক সময়, এই উপসর্গগুলি সাধারণ অ্যানেস্থিয়ার পরবর্তী প্রভাব হিসাবে দেখা যায়। বমি করা হল মুখ দিয়ে পেটের খাবার বার করে পেট খালি করে দেওয়া যেখানে বমি বমি ভাব হল একটি অস্বস্তিকর অনুভূতি যা বমি করার আগে অভিজ্ঞতা করা হয়। দুটো অবস্থাই সারানো যায় এবং সাধারণত এই রোগ খুব গুরুতর স্বাস্থ্যের সমস্যা বোঝায় না।
এর সাথে জড়িত প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো কি কি?
বমি বমি ভাব এবং বমি করা হল কোন রোগের অবস্থা কে চিহ্নিতকরণ করা। যদিও, বমি বমি ভাব এবং বমির ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত উপসর্গগুলি দেখা যায়:
- দ্রুত নাড়ির স্পন্দন।
- শুকনো মুখ।
- অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা মাথা ঘোরা।
- হালকা মাথাচাড়া।
- বিহ্বলতা।
- তলপেটে ব্যথা।
আরও দেখুনঃ সর্দি জ্বর সারানোর ঘরোয়া উপায়
এর প্রধান কারণগুলি কি কি?
বমি বমি ভাব এবং বমি করা অনেকগুলো কারণের জন্য হতে পারে যেমন:
- ভয়।
- অপ্রীতিকর গন্ধ।
- খাওয়া দাওয়ার ব্যাধি।
- খাদ্যে বিষক্রিয়া।
- ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
- সাধারণ অ্যানাস্থেসিয়া।
- কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন থেরাপি।
- মোটর সিকনেস বা সী সিকনেস।
- পেটের সংক্রমণ।
- গলব্লাডারে প্রদাহ।
- মাইগ্রেন।
- ভার্টিগো।
- ব্রেন ইনজিউরি বা ব্রেন টিউমার।
- পেটের আলসার।
- হাইপারঅ্যাসিডিটি।
- গর্ভাবস্থায় প্রথম তিনমাস।
আযুর্বেদিক চিকিৎসা বমি বন্ধ করার উপায়
1. ৫ গ্রাম মৌরি ২ কাপ জলে সেদ্ধ করে ১ কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করতে হবে। পরে ওই জল সারা দিনে ২ বার সকালে ও বিকালে খালিপেটে খেতে হবে।
2. ডালিমের রস ১ থেকে ২ চা চামচ অল্প লেবুর রস ও সৈন্ধব লবণ দিয়ে খেতে হবে।
3. দুই ইঞ্চির মত লতা গুলঞ্চের ডাল চাকা চাকা করে কেটে থেঁতো করতে হবে। এই থেঁতো ডাল আধ কাপ জলে ১-২ চামচ চিনি মিশিয়ে ১-২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরে সারা দিনে এই জল দু থেকে তিনবার খেতে হবে।
4. পুদিনা পাতা ৮-১০টা বেটে তাতে পুরনো তেঁতুলের মাড়ি (১ চা চামচ) একটু চিনি ও সৈন্ধব লবণ দিয়ে, প্রতিবার আধ কাপ জলের সঙ্গে সারা দিনে ২ থেকে ৩ বার খেতে হবে।
5. শুষ্ক আমলকী ৩-৪ গ্রাম ১ কাপ জলে ভিজিয়ে, ঘণ্টা দুই বাদে ছেঁকে নিতে হবে। এই জল একটু চিনি মিশিয়ে অল্প অল্প করে খেতে হবে।